• ‘জলস্বপ্ন’ রূপায়ণে সরকারি সংস্থাগুলির ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যবহারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
    বর্তমান | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গ্রামের সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প রূপায়ণে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কেএমডিএ থেকে আটজন ইঞ্জিনিয়ারকে ছ’মাসের জন্য ডেপুটেশনে বদলি করা হয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দপ্তরে। অবিলম্বে তাঁদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি ভবনে কাজে যোগ দিতে বলেছে কেএমডিএ। একজন এগজিকিউটিভ, তিনজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ও চারজন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠানো হয়েছে পিএইচই’তে। তাঁদের মধ্যে চারজন সিভিল ও দু’জন করে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল। 

    গ্রামে সব বাড়িতে পাইপ লাইনের জল সরবরহের প্রকল্পটি নিয়ে কিছুদিন আগেই নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পিএইচই দপ্তরের একার পক্ষে এত বড় প্রকল্প চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। পিএইচই দপ্তরে প্রয়োজনের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ার কম। এজন্য এই প্রকল্পে অন্য সরকারি দপ্তর এবং সংস্থা থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে অনেকগুলি বৈঠকও করেছেন। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ করে ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দিতেই হবে। 

    এদিকে, গ্রামে জল সরবরাহ প্রকল্পের পাম্পিং স্টেশনগুলির কর্মীদের বেতন সরকারি আইএফএমএস ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রদানের দাবি উঠেছে। পাম্পিং স্টেশনগুলি চালায় ঠিকাদাররা। এই প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ করে তারাই। সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানান, ওই কর্মীদের বেতনের টাকা সরকার ঠিকাদার মারফত পাঠায়। কিন্তু পম্পিং স্টেশনে ঠিকমতো কর্মী নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানা যায় না। তাঁদের বেতন আইএফএমএস ব্যবস্থায় দিলে বাস্তবে কতজন কর্মীকে ঠিকাদার কাজে লাগিয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। তাহলে অনেক ভালোভাবে পরিচালিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পটি।
  • Link to this news (বর্তমান)