• প্রাইভেট প্র্যাকটিস নয় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত, শিক্ষক-চিকিৎসকদের জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যদপ্তর
    বর্তমান | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্র্যাকটিসিং হন বা না হন, সোম থেকে শনি—সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনও সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।  রীতিমতো আদেশনামা জারি করে এই কথা জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের জারি করা আট পাতার ওই নির্দেশে সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসকদের ডিউটি রোস্টারও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রোগী স্বার্থে, ইমার্জেন্সি পরিষেবার উন্নতিতে এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গবেষণার উন্নতির স্বার্থে দেওয়া হয়েছে অসংখ্য নির্দেশ। বলা হয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষক-চিকিৎসককে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করতেই হবে। তবে কোনও সপ্তাহেই একটানা ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করা যাবে না। রাতে অন কল ডিউটিতে থাকলে পরদিন ‘ডে অফ’ নেওয়া যাবে না। বিভিন্ন বিভাগের কোনও না কোনও শিক্ষক-চিকিৎসককে রোজ রাতে থাকতে হবে। আরএমও কাম ক্লিনিক্যাল টিউটরের পদ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তাই সেই পদের দায়দায়িত্ব এরপর থেকে নিতে হবে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের। একই ইউনিটের ২ জনের বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক একযোগে ছুটি নিতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশে। 

    এর পাশাপাশি কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগকে সপ্তাহে ছ’দিন জেনারেল আউটডোর চালাতে বলা হয়েছে। মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি, ফিজিওলজি সহ প্রি এবং প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়ের চিকিৎসকদেরও প্রয়োজনে ওই আউটডোরে কাজে লাগানো যেতে পারে। ভর্তি থাকা কোনও রোগীর মৃত্যু হলে ‘ডেথ অডিট’ বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশে। প্রতিটি ইর্মাজেন্সি বিভাগে লাল, হলুদ এবং সবুজ—এই তিন ধরনের ভাগ থাকবে। সেই মতো লোকবল এবং যাবতীয় ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশে।
  • Link to this news (বর্তমান)