তবে, প্রশ্ন উঠেছে, শুধুই কি সঞ্জয়, নাকি আরও কেউ জড়িয়ে রয়েছে এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে। এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তারও করে।
বৃহস্পতিবারই আদালতে রুদ্ধদ্বারে কক্ষে এই মামলার সওয়াল করে সিবিআই। সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য প্রমাণ রয়েছে, কেন সিবিআই তাকে অভিযুক্ত হিসেবে মনে করছে, সেই বিষয়ে যুক্তি ও তথ্যপ্রমাণ দেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স, ফরেন্সিক রির্পোট, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একাধিক সায়েন্টিফিক প্রমাণ তুলে ধরা হয়। আর তাতেই মনে করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজার দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে।
আদালত সূত্রে খবর, আজ, শনিবার অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পক্ষের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করবেন। প্রয়োজনে সিবিআই ফের তার জবাব দেবে। আইনজীবীদের দাবি, দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শেষের পরে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা হয়।
সে ক্ষেত্রে একতরফা আর্গুমেন্ট বা সওয়াল হলে সেটাকে ‘ফাইনাল ক্লোজ়িং সাবমিশন’ বলা যায় না। শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয়কে শনিবারও নিয়ে আসা হতে পারে। আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গত ৭ অক্টোবর প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তার ভিত্তিতে চার্জ গঠন হওয়ার পরে রুদ্ধদ্বারে ইন–ক্যামেরা ট্রায়াল শুরু হয়। আদালত সূত্রে খবর, সওয়াল–জবাব বা আর্গুমেন্ট শেষ হওয়ার পরে অতি দ্রুত সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত।