বৃহস্পতিবার ‘সেবাশ্রয়’–এর সূচনা করেন অভিষেক। প্রথম দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে একটি মডেল শিবিরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ডাক্তার দেখাতে হাজির হওয়া প্রচুর সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
জানা গিয়েছে, কর্মসূচি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৫,৬৮৯ জন নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেন। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে আপাতত ‘সেবাশ্রয়’–এর ৪১টি শিবির চলছে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্যান্য বিধানসভাতেও ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচি শুরু হবে।
প্রথম দিনই ৩,৩৪০ জন রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় শিবিরগুলিতে। রোগীদের মধ্যে ২,৬০০ জনকে ওষুধও দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে। শুক্রবার, দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ৬,৯৪৫ জন। ৪,৩১২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৩,৯৪২ জনকে। রেফার করা হয় ২৩৬ জনকে। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে এই কর্মসূচি চলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সাংসদের উদ্যোগে এমন বিশাল স্বাস্থ্য ক্যাম্প অতীতে দেশের কোথাও দেখা যায়নি।
ডায়মন্ড হারবারের ২৩ লক্ষ বাসিন্দাকে বিনামূল্যে আধুনিক ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা ‘সেবাশ্রয়’–এর। যা কার্যত নজিরবিহীন। ১,২০০–র বেশি দক্ষ চিকিৎসক এবং শতাধিক নার্স ও ডায়াগনস্টিক কর্মী ক্যাম্পগুলিতে পরিষেবা দিচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে।
ডায়মন্ড হারবারের কামারপোলের বাসিন্দা সাকিনা খাতুন শুক্রবার ডাক্তার দেখাতে যান স্থানীয় ‘সেবাশ্রয়’ ক্যাম্পে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে। অভিষেককে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মা গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। মাকে এই শিবিরে নিয়ে এসেছি। চিকিৎসকেরা খুব যত্ন নিয়ে মায়ের চিকিৎসা করেছেন। দু’টি ব্যয়বহুল মেডিকেশনও বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।’
আর এক বাসিন্দা গোপাল প্রামাণিকের কথায়, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত সেবাশ্রয় শিবিরে এসেছিলাম। এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। চিকিৎসা পরিষেবাও খুব ভালো। আমি ওঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার কথায়, ‘সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবিরের পরিষেবা পেয়ে খুবই উপকৃত হলাম। এই উদ্যোগ অনেক মানুষকে সাহায্য করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সাংসদ হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হলো। ভবিষ্যতে উনি আরও অনেক প্রকল্প নিয়ে আসবেন, যা থেকে আমরা আরও অনেক সুযোগ–সবিধা পাব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা ওঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা জানাই।’