বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজার এলাকায় নিজের দোকানের ভেতরেই তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকারকে গুলি করে খুন করে ৩ দুষ্কৃতী। একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। ঘটনায় মৃত্যু হয় দুলালের। ওই ঘটনায় গোটা রাজ্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিজিৎ এবং অমিতের যোগ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, দুলাল সরকারের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে অমিত রজকের বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখানে অপরিচিতদের আনাগোনা বাড়ছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অমিতের বাড়ি থেকেই দুলালের রোজকার গতিবিধির উপরে নজর রাখা হতো। দুলালের খুনের পর ওই বাড়িতে আর কাউকে দেখা যায়নি। অমিতকে গ্রেপ্তার করার পর ওই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
ধৃত অভিজিৎ ঘোষের পরিবারের লোকজনের দাবি, ২ জানুয়ারি কাউন্সিলার খুনের দিনে দুপুর ১২টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিল অভিজিৎ। অন্যান্য দিনের মতোই খাওয়া-দাওয়াও করে সে। সেই সময় তার মধ্যে উদ্বেগের কোনও চিহ্ন ছিল না বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে গত ১৫ দিন ধরে কাজে যায়নি অভিজিৎ, জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। দুলাল সরকারের খুনে তার কোনও যোগ থাকতে পারে, তা মানতে নারাজ পরিবার।
উল্লেখ্য, দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুলালকে খুনের ‘সুপারি’ কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল? এখন সেই চাঁইকেই খুঁজছে পুলিশ।