সূত্রের খবর, মাছ ধরার সময়ে বাঘ তাঁদের উপর হামলা চালায়। বাঘ প্রথমে গণেশকে আক্রমণ করে। সেই সময় তাঁর অন্য দুই সঙ্গী বাসুদেব এবং গোপাল তাঁকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বাঘের হামলায় সেখানেই মৃত্যু হয় গণেশের। বাসুদেব এবং গোপাল জানান, গণেশের দেহটি টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল বাঘ। কোনওমতে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন ওই দু’জন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে। যে জায়গায় মাছ ধরার জন্য গণেশ কাহার গিয়েছিলেন সেখানে যাওয়ার বৈধ অনুমতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে বন দপ্তর।
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বৈঠাভাঙা জঙ্গলে বাঘের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল আরও এক মৎস্যজীবী বর্ণধর মণ্ডলের। বন দপ্তরের এক কর্মী জানান, রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় মৎস্যজীবীরা যাতে না যান, সেই জন্য বারংবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু এরপরেও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে সতর্ক হতে দেখা যাচ্ছে না। অতীতে রিজার্ভ এলাকায় কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় একাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন সুন্দরবনে।