ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। নিয়ম মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরেই সাধারণ মানুষ হাতে পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে কী ভাবে নকল পাসপোর্টের চক্র কাজ করছিল? তা নিয়ে তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও। তদন্তে নেমে পুলিশের একাংশের যোগসূত্র থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা।
আর সেই প্রেক্ষিতেই প্রাক্তন পুলিশকর্মী আব্দুল হাইয়ের ভূমিকা নজরে এসেছিল পুলিশের। তিনি লালবাজারের পাসপোর্ট বিভাগের কর্তব্যরত ছিলেন। মাত্র এক বছর আগে অবসর নিয়েছেন আব্দুল। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও প্রাক্তন এই পুলিশকর্মীর স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী সৎ পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
তবে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন শহর থেকে একগুচ্ছ পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কলকাতার পাশাপাশি নয়ডা, দিল্লি, চেন্নাই, পুনেতেও জাল পাসপোর্ট চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশে বহু নাগরিকের নামে সেই দেশে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। ফলে তাঁরা কেউ সেখানকার পাসপোর্ট পাবেন না। তাঁদের একাংশ দালাল ধরে ভারতের পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ জাল পাসপোর্ট চক্রের চাঁই মনোজ গুপ্তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনও গাফিলতি চলবে না, এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসারদের সতর্ক করেছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। তাঁর নির্দেশ, যিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করছেন, তাঁর নথি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সেই ব্যক্তি ভারতীয় কি না তা যাচাই করে দেখতে প্রয়োজনে তাঁর বাড়িতে যেতে হবে স্থানীয় থানার বিভাগীয় পদস্থ আধিকারিককে।