তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি নির্বাচনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২ জানুয়ারি পুলিশকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই রিপোর্ট না দেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্যের আইনজীবীকে মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট হলফনামা আকারে দিতে নির্দেশ বিচারপতির।
তমলুক ঘাটালে সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচনে বিস্ফোরণের ঘটনায় NIA তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মামলা। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ২ জানুয়ারি রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারপতি বর্তমানে সার্কিট বেঞ্চে থাকায় এই মামলা জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে শুনানির আবেদন জানান মামলাকারী।
আবেদনকারীর দাবি ২০২৪ সালে ৮ ডিসেম্বর তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ সোসাইটি নির্বাচনে যে বিস্ফোরণ হয়েছিল তার তদন্ত পুলিশ করছে। কিন্তু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তাই NIA তদন্তের প্রয়োজন আছে। আর দেরি হলে তথ্য প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন- হিউজ এক্সপ্লোসিভ ছিল। থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেটা সুয়োমোটো। সেখানে বিস্ফোরক উদ্ধার হলেও সঠিক ধারা প্রয়োগ হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে।রাজ্যের আইনজীবী পালটা বলেন, গত আটই ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটেছে। এখন কিসের আর্জেন্সি এই মামলায়? একটা বম্ব ব্লাস্ট হয়েছে কিন্তু কারও আঘাত লাগেনি। আর রেগুলার বেঞ্চের বিচারপতি এখন নেই। ফলে কিসের এতো তাড়া এই মামলা শোনার?
যদিও বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন রাজ্যের আইনজীবীর এই যুক্তিতে। বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন- আপনাদের রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল সেটা দিন। রেগুলার বেঞ্চের বিচারপতি নেই তো কি হয়েছে?কাজেই ঘাটাল সমবায় নির্বাচনে বিস্ফোরণের মামলায় রিপোর্ট দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে রাজ্য সরকার।