• ভেরিফিকেশনেই কারসাজি! পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার পুলিসের প্রাক্তন এসআই
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • রণয় তিওয়ারি ও মনোজ মণ্ডল: পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এবার চাঞ্চল্য়কর মোড়। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রাক্তন এসআইকে। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ওই প্রাক্তন এসআইয়ের নাম আব্দুল হাই। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের কামারপুকুর এলাকায়।

    এক বছর আগেই অবসর নিয়েছেন চাকরি থেকে। গতকাল রাতে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এবং অশোকনগর থানার পুলিস এসে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে লালবাজারে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। তিনি গিয়েছিলেন এবং তার পরবর্তীতে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ওই গ্রেফতার নিয়ে পুলিস কর্মীর স্ত্রী জানান তাঁর স্বামী সৎ ভাবে চাকরি করে এসেছেন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রতিবেশীরাও জানাচ্ছেন পুলিস কর্মী সৎ ব্যক্তি ছিলেন। হয়তো তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

    সম্প্রতি ভবানীপুর থানায় একটি অভযোগ জমা পড়ে যে পাসপোর্ট জালিয়াতি হচ্ছে। সেই অভিযোগ ওঠার পরই একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে কলকাতা পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস এখনওপর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত আব্দুল হাই এসইওতে কর্মরত ছিলেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এর আগে যারা ভুয়ো পার্সপোর্ট কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে আব্দুল হাইয়ের। জালিয়াতি করা হয়েছে ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে।  

    পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এবার আতস কাচের তলায় এবার কলকাতা পুলিসের কয়েকজন কর্মী। এক পুলিস কর্মীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ কয়েকজন পুলিসকর্মী নথি যাচাই না করেই পাসপোর্টের আবেদন পাস করিয়ে দিতেন। পাসপোর্ট তৈরির পর সেইসব পাসপোর্ট চলে যেত পঞ্চসায়রের পোস্টঅফিসে। পাসপোর্ট ফেরিফিকেশনের পদ্ধতিগুলো ঠিকঠাক মেনে চলা হত কিনা তা খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে। পঞ্চসায়র পোস্ট অফিসের এক কর্মীকেও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনওপর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে ২৫০ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে। সেসব বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দিয়েছে অভিযুক্তরা। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব থাকে পুলিসের উপরে। প্রশ্ন উঠছে, জাল নথি দিয়ে এত পাসপোর্ট ইস্যু হল অথচ পুলিস কিছুই জানতে পারল না! সেই সূত্রেই কয়েকজন পুলিস কর্মীর উপরে নজর পড়ে তদন্তকারীদের।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)