শনিবার মন্ত্রী ও সাংসদের বিরুদ্ধে ইমেইল ও স্পিড পোস্টের মাধ্যমে কলকাতা পুলিস এবং হাওড়া পুলিস কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেছেন সমাজকর্মী প্রতাপ বাসু। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ এই ধরনের কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ব্যবস্থা নিত। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ওই দুজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান। তার হুঁশিয়ারি, পুলিস উভয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।
শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর বচসা চলে দুই নেতার। জানা গেছে, দু'জনের গাড়িই কলকাতা থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। বাবুলের দাবি, পিছন থেকে হর্ন বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। কার গাড়ি এইভাবে চলছে তা দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন, তমলুক সাংসদ অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। তখন তিনি গাড়ির থেকে নেমে যখন বলতে যান, সেই সময় অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে যা তা ভাষার কথা বলতে থাকেন।
বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, তিনি যে গাড়িটি চড়ে আসছিলেন সেই গাড়িতে লাল নীল হুটার লাগানো ছিল যা তিনি কখনওই লাগাতে পারেন না। এরপরে বাবুল সুপ্রিয় নিজে গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। যদিও এই গোটা ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিজেপি সাংসদের। এরপরই সামনে এল পুলিসে অভিযোগের বিষয়টি।