পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল, চার্জ গঠনের পথে এগোল সিবিআই
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেকটা এগিয়ে গেল সিবিআই। কারণ এই দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দিল রাজভবন। চার্জশিট সিবিআই পাঠিয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। আর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাতে অনুমোদন দিয়ে দিলেন। চার্জশিটে অনুমোদন পাওয়ার পর ওই চার্জশিটের কপি আদালতে জমাও করে দিয়েছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল সিবিআই। আর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে সিবিআই। তবে তার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যেরও নাম আছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করার ৮৮ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। চার্জশিটে পার্থকেই নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দাবি করেছে সিবিআই। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল থেকেই গ্রেফতার করে সিবিআই। ১৫৮ জন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জেরে বঞ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এই দাবিই করেছে সিবিআই। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে নতুন বছরেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন যে বিশ বাঁও জলে তা এই চার্জশিট থেকে স্পষ্ট হচ্ছে আইনজীবীদের কাছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সিবিআইয়ের মামলায় জামিন এখনও মেলেনি। কারণ বিষয়টি নিয়ে বিচারপতিদের মধ্যে মতান্তর হওয়ায় মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সেই বেঞ্চেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলাটি ঝুলেই রয়েছে। তার মধ্যেই চার্জশিটে পড়েছে রাজ্যপালের অনুমোদন।
এছাড়া সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের টেট অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন অনেক পরীক্ষার্থী বাংলা মাধ্যমের প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন নিয়ে আপত্তি তোলেন। সেখানে বিকল্প উত্তরের ক্ষেত্রে গ্যাঁড়াকল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপর চার দফা শর্ত জারি করা হয়। তখন দেখা যায়, ওই শর্ত অনুযায়ী উপযোগী ছিলেন ৪২৮ জন প্রার্থী। কিন্তু মাত্র ২৭০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে পর্ষদ। তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান ২৬৪ জন। এভাবেই ১৫৮ জনকে বঞ্চিত করা হয় বলে দাবি করেছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ২৬৪ জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হয়েছে।