অভিষেক লেখেন, ‘সেবাশ্রয় কর্মসূচি কেন বিশেষ তা এর ব্যাপ্তি দিয়ে মাপলে হবে না, এই কর্মসূচির মাহাত্ম্য দিয়ে বিচার করতে হবে। এই কর্মসূচি নিশ্চিত করে যে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেবাশ্রয় প্রমাণ করে যে তৃণমূল স্তর থেকে পরিবর্তন করাটাই আসল।’
এই কর্মসূচির প্রথম ধাপে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৪১টি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তৃতীয় দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার মোট ১১,৩৮৮ জন এই শিবিরগুলিতে হাজির ছিলেন। এর মধ্যে ৭,০৫৩ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ৬,৫৩৭ জনকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য শিবির থেকে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরমার্শ অনুযায়ী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ২৫৩ জনকে। গত দু’দিনের তুলনায় লাফিয়ে বেড়েছে সুবিধাভোগীর সংখ্যা। এক লাফে প্রায় ৫ হাজার ‘ফুট ফল’ বেড়েছে তৃতীয় দিনে।
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি থেকে টানা ৭৫ দিন ধরে নিজের সংসদ এলাকায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজনে ‘সেবাশ্রয়’ শুরু করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে নাগরিক পরিষেবার জন্য ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচি বা কোভিড কালে একদিনে ৩০ হাজার টেস্টের ব্যবস্থা করার মতো উদ্যোগ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছিল। ‘সেবাশ্রয়’ কর্মসূচিতে ভালো সাড়া মিললে আগামী দিনে অন্যান্য জেলাতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।