আরজি কর মামলায় একইসুরে আদালতে কথা বলল নির্যাতিতার পরিবার ও সঞ্জয়ের আইনজীবী, কী?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
একজনের পক্ষে অসম্ভব- আরজি কর মামলার শুনানিতে একইসুরে বলল নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার এবং সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী। সার্বিকভাবে দু'পক্ষের সওয়ালের মধ্যে অবশ্য আকাশ-পাতাল তফাৎ ছিল। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে যেমন দাবি করা হল যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয়, সেই একই কথা বললেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যুক্ত নয়। অন্যদিকে সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার।
শনিবার শিয়ালদা আদালতে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। ৫৭ পৃষ্ঠার একটি বয়ান জমা দেন। তাঁরা দাবি করেছেন, সঞ্জয় একা নয়, মেয়েদের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন। একজনের পক্ষে এরকম কাজ করা সম্ভব নয় বলে সওয়াল করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন, যারা যারা ওই ঘটনায় যুক্ত আছে, তাদের খুঁজে বের করতে আরও তদন্ত করা হোক। সেইমতো যাতে চার্জশিট পেশ করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা।
অন্যদিকে সঞ্জয়ের আইনজীবী দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজের যে অংশে সামনে এসেছে এবং পারিপার্শ্বিক যে সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলার স্রেফ একজনের যোগ থাকার সম্ভাবনা নেই। একজনের পক্ষে ওই ঘটনা সম্ভব নয় বলে সওয়াল করেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
তাঁর বক্তব্য, নিজেদের চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করলেও সিভিক ভলান্টিয়ার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জড়িত নয়। ওই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে সওয়াল করেন সঞ্জয়ের আইনজীবী।
যদিও বিশেষজ্ঞ দল যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে ওই ঘটনা একজনের পক্ষেও ঘটানো সম্ভব বলে জানানো হয়েছে। দিল্লি এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের নেতৃত্বে ‘মাল্টি-ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’-র অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়, নির্যাতিতার শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, সেটা একজনের পক্ষেও সম্ভব। সেই বিষয়টি অন্যান্য রিপোর্ট দেখেও যাচাই করা যেতে পারে বলে ‘মাল্টি-ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড’-র তরফে জানানো হয়।
সেইসঙ্গে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয় যে তরুণী চিকিৎসকের যোনিতে বীর্য মেলেনি। তরুণী চিকিৎসকের শরীর থেকে যে লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলে গিয়েছে বলেও জানানো হয়।