কুলিক নদীর খরমুজা ঘাট থেকে বালি পাচার, ক্ষোভ স্থানীয়দের
বর্তমান | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কোনও প্রান্তিক এলাকা থেকে নয়। শীত পড়তেই বালি মাফিয়াদের নজর পড়েছে শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কুলিক নদীতে। শহরের খরমুজা ঘাট থেকে কুলিক ব্রিজের দিকে ১০০ মিটারের মধ্যে দিনেই বালি পাচারের কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। মাঝনদীতে নৌকা রেখে তাতে বেলচায় করে বালি বোঝাই করে চলছে দেদার পাচার।
বিষয়টি নজরে আসতেই শহরের কয়েকজন বাসিন্দা যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরব হয়েছেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের কর্মকর্তারাও। তাঁদের বক্তব্য, যেভাবে নদী থেকে অবৈজ্ঞানিক উপায়ে বালি তোলা শুরু হয়েছে, তাতে নদী পাড় ভাঙনের সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে।
শনিবার দুপুর বারোটা থেকে একটা নাগাদ শহরের গা ঘেঁষা এলাকায় এই কার্যকলাপ দেখে অনেকেই তাজ্জব বনে যান। নদীতে স্নান করতে আসা বাসিন্দাদেরও নজরে বিষয়টি পড়েছে। স্থানীয়রা বলেন, এদিন পাঁচ থেকে সাত জন মাঝ নদীতে দুটি নৌকা দাঁড় করিয়ে বালি তুলছে। বেলচায় করে বালি তুলে বোঝাই করা হয় দুটি নৌকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রায়গঞ্জের ভূমি দপ্তরের আধিকারিক সুমিত ভট্টাচার্য ও অন্যরা। ততক্ষণে পাচারকারিরা বমাল চম্পট দেয়। ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, কুলিকের যে অংশ থেকে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে, সেই অংশ থেকে বালি তোলার কোনও অনুমোদন নেই।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমালসের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, এমনিতে কুলিক নদীর ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা। নদী কার্যত খালের আকার নিচ্ছে। এমন অবস্থাতেও যদি অবৈধভাবে নদী থেকে বালি বা মাটি তোলা হয়, তাহলে নদীর আর কিছু থাকবে না। প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন।