• শাসনে গৃহস্থ বাড়িতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, মালিক বাইরে গেলে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল
    বর্তমান | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি অনেকের ভরসার জায়গা। তবে কেন্দ্রটির কোনও স্থায়ী বাড়ি নেই। শিশুদের পড়াশোনা করতে যেতে হয় অন্যের বাড়ি। সে বাড়ির মালিক কাজেকর্মে কোথাও গেলে বা আত্মীয় পরিজন বাড়িতে এলে বন্ধ থাকে সেন্টার। তখন পড়াশোনা, শিশুদের খাওয়াদাওয়া বন্ধ। এভাবেই চলছে বারাসত দু’নম্বর ব্লকের শাসন এলাকার পাকদহের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। এখানে যে খাবার বাচ্চাদের দেওয়া হয় তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। যে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় তা নাকি মেয়াদ উত্তীর্ণ। এই অবস্থা পাল্টাতে প্রশাসনিক নজরদারির দাবি জোরালো হচ্ছে। নবান্ন সভাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আইসিডিএস সেন্টার নিয়ে সম্প্রতি বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পাকদহ গ্রামের আইসিডিএস সেন্টারের নিজস্ব বাড়ি তৈরি হোক দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা। এই দাবি গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে দাবি ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকদের। 

    ১৪ বছর কেটে গেলেও সেন্টারের নিজস্ব ভবন তৈরি হয়নি। গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়ির বারান্দাতে চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা স্থায়ী ভবনের দাবি জানিয়ে আগেও ব্লক প্রশাসনিক দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তনই হয়নি। এরপর বাড়ির দাবি ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ তুলে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অভিযোগ, পুষ্টিকর খাবারের নামে যা দেওয়া হচ্ছে তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তা খেলে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের শারীরিক ক্ষতির প্রবল আশঙ্কা। নাজিরা, সালমা খাতুন নামে দুই স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সেন্টার অন্যের বাড়িতে থাকলে হবে না। বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য নিজস্ব ভবন দরকার। আর যে খাবার দেওয়া হয় তা অত্যন্ত খারাপ।’ সেন্টারের সহায়িকা জয়ন্তী দাস বলেন, ‘আমি ১৪ বছর ধরে এই সেন্টারে আছি। নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় না। তবে সেন্টারের নিজস্ব ভবন নেই তা সত্যি।’ বারাসত দুইয়ের সিডিপিও রাজশঙ্কর পান্ডে বলেন, ‘যে আইসিডিএসের নিজস্ব বাড়ি নেই সেখানে নতুন ভবন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও জমির সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের অভিযোগের পর আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)