• ধর্ষণকারী সৎ বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কোর্টে যেতেই খুনের হুমকি
    বর্তমান | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বছর পনেরোর মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সৎ বাবা। তার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিল নাবালিকা কন্যা। আদালতে বাবার দুই বন্ধু তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। হুমকি শুনে আদালতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সে। কান্নায় ভেঙে পড়ে। পুলিস সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। নির্যাতিতাকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। বুধবার হবে সাক্ষ্যগ্রহণ।

    ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর ভাসানপোতার বাসিন্দা এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের পর গাইঘাটার জাকির মণ্ডল নামে একজনকে বিয়ে করেন। মহিলার প্রথম পক্ষের দুই কন্যা রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ের পর মহিলা সন্তানসম্ভবা হন। তারপর ভাসানপোতায় বাপের বাড়িতে থাকছিলেন। তাঁর মা কর্মসূত্রে থাকেন গুমাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে। জানা গিয়েছে, ২৫ জুন মহিলার প্রথম পক্ষের মেয়ে দিদার কাছে গিয়েছিল। তার বয়স ১৫ বছর। ফেরার পথে বনগাঁ স্টেশনে সৎ বাবা জাকিরের সঙ্গে দেখা হয়। নাবালিকার অভিযোগ, জাকির বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। জামা কিনে দেবে বলে। তারপর গোপালনগর থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে তাকে ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা মাকে বলে নির্যাতিতা। থানায় অভিযোগও জানায়। এরপর গ্রেপ্তার হয় জাকির। সে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে।

    শনিবার ছিল এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। আদালতে মায়ের সঙ্গে আসে নির্যাতিতা। কিছুক্ষণ পর আদালতের বাইরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে। জানায়, আদালতে এসে দু’জন তাকে হুমকি দিয়েছে। সৎ বাবার নামে অভিযোগ করলে তাকে ও তার মাকে কেটে ফেলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। এরপর পুলিস আসে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে। জানা গিয়েছে, ফুটেজে নির্যাতিতাকে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। পকসো আদালতের বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, ‘এই ঘটনা খুবই ভয়ঙ্কর। এরকম চলতে থাকলে মানুষ সাক্ষী দিতে ভয় পাবেন।’
  • Link to this news (বর্তমান)