জেলা পুলিশের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ারে মোট ৩০০ হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে। তারমধ্যে আলিপুরদুয়ার শহর, জয়গাঁ এবং ফালাকাটায় কম করে ৪০টি বহুতল হোটেল আছে। এখন থেকে ওই হোটেল গুলির লিফটের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ছয় মাস অন্তর জেলা পুলিশকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে বহুতল হোটেল গুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও পরীক্ষা করা হবে। লিফট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে জেলার পুলিশ কর্তারা আচমকা পরিদর্শনে যাবেন।
আলিপুরদুয়ার জেলা হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিঙ্কর রায় বলেন, 'আমরা লিফট ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে জেলা পুলিশের তৎপরতাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সবরকম সহযোগিতা করা হবে।' জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, 'এখন থেকে নিয়মিত ভাবে প্রতিটি বহুতল হোটেলের লিফটের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়মিত আবাসিক হোটেল গুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হবে। গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া আইনি পদক্ষেপ হবে।'
জয়গাঁর একটি বহুতল হোটেলের লিফট থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ভুটানের এক বৌদ্ধ লামার। লিফটের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার তার দেহ লিফটের বেসমেন্ট থেকে পাওয়া যায়। জানা যায় বৌদ্ধ লামা দাওয়া নরবু (৪৫) বৌদ্ধগয়ার বাসে চড়ার আগে হোটেলে ফেলে আসা নিজের পরিচয়পত্র নিতে গিয়েছিলেন।
লিফট দোতলা এবং তিনতলার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে। এবং বৌদ্ধ সন্ন্য়াসী ভুল করে লিফটের দরজা খুলে পা বাড়াতেই নিচে পড়ে যান। তারপরেই প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে লিফটের দরজা মাঝপথে খুলল। যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।