জলপাইগুড়ি পুরসভায় রয়েছে ২৫টি ওয়ার্ড। জনসংখ্যা দেড় লক্ষের বেশি। প্রায় ৩৩ হাজারের বেশি হোল্ডিং নম্বর রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি সাত বছর অন্তর অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় হোল্ডিং নম্বরের কোন বাড়িগুলি কর্মাশিয়াল ট্যাক্স অথবা ডোমেস্টিক ট্যাক্স দেবে। অ্যাসেসমেন্ট করার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে পুরসভা। ফলে বহু বাড়ির মালিক পুরসভাকে না জানিয়ে ভাড়া বসিয়েছেন। মিউটেশন হয়নি। বাড়ির সামনে দোকান তৈরি করে ব্যবসাও চলছে।
নতুন বাড়ি তৈরি ছাড়াও অনেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে, যে তথ্য দেওয়া হয়নি। পুর আধিকারিকদের বক্তব্য, বাড়ির সামান্য কিছু পরিবর্তন করতে হলেও পুরসভাকে জানাতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাসিন্দারা সমস্ত তথ্য গোপন করায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পুরসভা। তাই নতুন করে অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, ‘অ্যাসেসমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। ২৫টি ওয়ার্ডে ১১টি টিম কাজ করছে। কে, কী ভাবে বসতবাড়িকে ব্যবহার করছেন, কারা বাড়িকে কমার্শিয়াল প্লেস হিসেবে ব্যবহার করছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ভাড়া বসানো নিয়েও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে নতুন ট্যাক্স নির্ধারিত হবে।’