গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারে নিজের কারখানার সামনে দুলালের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়েছিল। একটি গুলি তাঁর মাথায় লাগে। মৃত্যু হয় তৃণমূলের জন্মলগ্নের সৈনিক দুলালের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুক্রবার ইংরেজবাজারের দুই বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ, অমিত রজক গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কৃষ্ণ রজক সম্পর্কে অমিতের দাদা। অমিতের বাড়ি থেকে দুলালের বাড়ির দূরত্ব ছিল মাত্র ২০০ মিটার। তার বাড়ি থেকেই দুলালের উপর নজর রাখা হতো বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারীদের। এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিহারের বাসিন্দা সামি আখতার, মহম্মদ আব্দুল গনি এবং মালদার বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষও এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়।
কী কারণে খুন হলেন দুলাল? উঠছে সেই প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, জমির কারবার নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। জমি নিয়ে দুলালের অনুগামীদের সঙ্গে অমিত এবং অমিতের দাদা কৃষ্ণর বিবাদ ছিল। এই কৃষ্ণই কাউন্সিলর খুনে অন্যতম চক্রী বলে সন্দেহ পুলিশের।
যদিও দুলালের স্ত্রী চৈতালী ঘোষের দাবি, শুধু জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে স্বামী খুন হয়েছে এই তত্ত্ব তিনি মানতে পারছেন না। নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তাঁর।