এ দিন চালকল মালিক হিতেশ চন্দক, সুব্রত ঘোষ এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শান্তনু ভট্টাচার্যের জামিনের মামলার শুনানি ছিল। ইডি–কে ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে কী ভাবে টাকা ফেরত দেওয়া যায়, কোন নিয়মে টাকা ফিরত দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক।
ওই মামলায় শান্তনু ভট্টাচার্যের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘এই মামলা কবে শেষ হবে, তার কোনও ঠিক–ঠিকানা নেই। ২০২৩ সাল থেকে ইডি তদন্ত করেই চলেছে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে আমার মক্কেলের সামাজিক সম্মান রয়েছে। এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। তা–ও তদন্তের স্বার্থে ২৮ বার হাজিরা হয়েছেন উনি। এই মামলার ট্রায়াল তাড়াতাড়ি শেষ করার আর্জি জানাচ্ছি।’
শান্তনুর আর এক আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেন, ‘এতদিনে একবারও দেখানো হয়েছে যে আমার মক্কেল বেনিফিশিয়ারি! আমাদের থেকে টাকা ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে ইডির হতে গিয়েছে।’
তখনই বিচারক ইডির উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘তিনটে সংস্থা থেকে যে টাকা তিনি নিয়েছেন, তা ফেরত দিচ্ছেন আপনাদের অর্ডারে? ইডি কি এই কোম্পানিগুলোর মালিক? চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টরা ডিমান্ড ড্রাফটে টাকা ফেরত দিচ্ছেন কেন?’
মামলার তদন্তকারী অফিসারের উদ্দেশে বিচারক আরও বলেন, ‘কোন আইনের ভিত্তিতে এটা হচ্ছে? পিএমএলএ অ্যাক্টে কী ভাবে গ্রেপ্তার করা হবে, কখন করা হবে, কী ভাবে তদন্ত হবে, সব লেখা আছে। তা হলে এটা কোন আইনের ভিত্তিতে হলো?’ তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য, ‘আমি ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের নির্দেশে কাজ করেছি।’