মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন কলকাতা পুলিশের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এক আধিকারিক। ধৃত আবদুল হাইকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আর ধৃত আবদুল হাই-কে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জেরায় উঠে এসেছে, হোমগার্ডদের কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে আসল বলে সই করে দিতেন এই আধিকারিক।
পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের সিকিওরিটি কন্ট্রোল বিভাগের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর আবদুল হাইকে অশোকনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অবসরের আগে ৪ বছর ওই বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই সময়ে হোমগার্ডদের কাজে লাগিয়ে টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ভারিফিকেশনে ছাড়পত্র দিয়ে দিতেন তিনি। মোট ৫১টি এরকম পাসপোর্টর ভেরিফিকেশনে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন আবদুল হাই। যার বিনিময়ে এক এক জনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন মোটা টাকা।
এছাড়া তদন্তকারীরা পাসপোর্টকাণ্ডে ধৃত মূল চার অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার করেছেন ৫টি মোবাইল ফোন। সেই ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই তথ্য ফিরে পেতে ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চান তাঁরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই ফোনগুলির তথ্য পাওয়া গেলে ধৃতদের সঙ্গে আর কার কার যোগাযোগ ছিল তা জানা যাবে।
পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এই নিয়ে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এই চক্রের জাল আরও দূর পর্যন্ত ছড়ানো বলে মনে করা হচ্ছে। পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে আর কোনও পুলিশকর্মী যুক্ত আছেন কি না তাও জানতে চান গোয়েন্দারা।