• মা উড়ালপুলের একাংশ বন্ধ থাকবে, রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা করা হচ্ছে, কেন?‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • গত বৃহস্পতিবার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ধমকও দিয়েছিলেন। তবে ভাল–সৎ অফিসারদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। তখন তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন পুলিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘‌সন্ধ্যার পর মা উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের শুধু একটাই কাজ, বন্ধ করে দেওয়া।’‌ তখন নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়ে মা উড়ালপুল দিয়ে দেদার মোটরবাইক দিনে–রাতে যেতে শুরু করে। কিন্তু এবার আবার রাতে আট ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে মা উড়ালপুলের বাইপাসগামী ফ্ল্যাঙ্ক বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ওই বাইপাসগামী ফ্ল্যাঙ্ক দিয়েও মোটরবাইক যাতায়াত করে। সেগুলি রাতে করতে পারবে না। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর কথার অবাধ্য হল কলকাতা পুলিশ?‌ অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কোনও ভিআইপি গেলে বাড়িঘর, দোকানপাট সব বন্ধ করে দেয়। সেসব চালু রেখে কি করা যায় না? মা উড়ালপুল, এজেসি বোস রোডে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগ বেঁধে দিতে হবে। ফাঁকা জায়গা ব্লক করতে হবে। যাতে কেউ গাড়ি না ঘোরাতে পারেন‌।’‌ সেখানে লালবাজার সূত্রে খবর, রোজ রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এই মা উড়ালপুলের ফ্ল্যাঙ্কটি বন্ধ রাখা হবে।

    মা উড়ালপুলের ফ্ল্যাঙ্ক বন্ধ রাখা মানে গোটা মা উড়ালপুল বন্ধ রাখা নয়। সেটি ঠিক। কিন্তু একাংশ বন্ধ থাকলে মা উড়ালপুলের উপর সরাসরি চাপ বাড়বে। তখন যানজট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। মেরামতি করার জন্য এই যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই মা উড়ালপুলের ফ্ল্যাঙ্কে যান চলাচল করতে পারবে। আর বিপরীতমুখী ফ্ল্যাঙ্কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য সব সময়ই খোলা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর নিষেধাজ্ঞা উঠলেও মোটরবাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর বিধিভঙ্গ হলেই জরিমানা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। এখন অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    এছাড়া রাতে ইএম বাইপাসগামী মা উড়ালপুলের ফ্ল্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, এজেসি বোস উড়ালপুল, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, দরগা রোড, পিসি কানেক্টর হয়ে ইএম বাইপাস যেতে পারবে যানবাহনগুলি। তবে একটু অসুবিধা তো হবেই। মেরামতের কাজ না করা গেলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে মা উড়ালপুলের ফ্ল্যাঙ্কটির। মা উড়ালপুল ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকছে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)