সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা উদ্যোগ নিলেও আসছে না তরুণ প্রজন্ম, কপালে ভাঁজ সিপিএমের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
যে সিপিএম একদা বঙ্গে কম্পিউটার ঢুকতে বাধা দিয়েছিল সেই লালপার্টি এখন নানা উদ্যোগ নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে হবে। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম কি এসেছে? এখন এই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। আর সেটা নিয়ে যে তথ্য হাতে এসেছে দলের নেতাদের তাতে কপালে ভাঁজ পড়েছে। এই কথা সিপিএমের ২৬তম কলকাতা জেলা সম্মেলনের রাজনৈতিক–সাংগঠনিক খসড়া প্রতিবেদনও উঠে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালের প্লেনামের সময় ৩১ বছরের নীচে সিপিএমের সদস্য ছিল ৪.৬ শতাংশ। এখন সেটা ৪.৩ শতাংশ হয়েছে। সুতরাং বৃদ্ধতন্ত্র থেকে এখনও বেরতে পারেনি সিপিএম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় টুম্পা সোনা থেকে শুরু করে নানা প্যারোডি নিয়ে এসেছে তারা। এই প্ল্যাটফর্মে দেদার কাজ করছে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয় সিপিএম। প্যারোডি থেকে রিলস পোস্ট করেও নির্বাচনে শূন্যতা কাটানো যায়নি। এখন আবার লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়ে দরকার। সেই সদস্য সংখ্যা বাড়বে কেমন করে? এই প্রশ্নই এখন তুলছেন সিপিএমের নেতা–নেত্রীদের একাংশ। সিপিএমে এখন মহিলা সদস্য সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এই খসড়া প্রতিবেদনে। সুতরাং সব মিলিয়ে একটা চাপের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নামানো হয়েছিল তরুণ ব্রিগেডকে। কিন্তু তাতে জামানত জব্দ হওয়া ছাড়া বিশেষ কিছুই ঘটেনি। শূন্য থেকে এক হওয়া যায়নি। এমনকী উপনির্বাচনগুলিতেও গোহারা হারতে হয়েছে। এখন দলের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কমবয়সি সদস্য বাড়ার ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সিপিএম সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে ৩১ বছরের কম বয়সের ৪৬ জনকে ‘প্রার্থী সদস্যপদ’ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে সংখ্যা ছিল ১৪০ এবং ২০২২ সালে ৯৩। সুতরাং দলে তরুণ প্রজন্ম উঠে আসার ক্ষেত্রে হ্রাস দেখা যাচ্ছে। আর নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আসছেও না।
এই পরিস্থিতিতে আগামী এপ্রিল মাসে ব্রিগেড সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম এবং শাখা সংগঠনগুলিকে সামনে রাখা হচ্ছে। তাতে কি মাঠ ভরবে? তরুণ প্রজন্ম দলে আসবে? জবাব সময় দেবে। এখন প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কলকাতা জেলা সম্মেলন। যা চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত। এই সম্মেলনে ইতিমধ্যেই কলকাতা জেলার আন্দোলন সংগঠিত করার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে সূত্রের খবর। আর তরুণ প্রজন্মের বড় অংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে দলে এসেছে। কিন্তু শ্রমিক শ্রেণি থেকে উঠে আসা পার্টি সদস্যের সংখ্যা খুবই কম বলে খবর।