• ‘পাড়া নির্বংশ হবে’, অভিশাপ দিলেন 'পুরোহিত, শ্যামাসুন্দরী মন্দির কমিটির পাশে BJP
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • শ্যামাসুন্দরী মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় এবার আসরে নামল বিজেপি। পদ্মশিবিরের দাবি, মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাল পাচার, আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে, তাদের ‘ক্লিনচিট’ দিয়ে বঙ্গ বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরেই সুকিয়া স্ট্রিটের মন্দিরের তহবিলে হাত বসাতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু সেটা করতে পারেনি। তাই এরকম কৌশল অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির বক্তব্য, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের জেরে শ্যামাসুন্দরী মন্দির বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, তৃণমূলের গুণ্ডা এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে মা কালী, মহাদেব এবং জগন্নাথদেবের মূর্তি সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির সেই অভিযোগ নিয়ে আপাতত তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে নিজেদের অভিযোগের ‘প্রমাণ’ হিসেবে দুটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে বিজেপি। একটি ভিডিয়োয় যে ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে, তিনি পুরোহিত বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে। অপর ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে পুরোহিতের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম হালদার ও সাঙ্গপাঙ্গরা।

    যে ভিডিয়োটি পুরোহিতের বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কুণাল ঘোষ, ওই চোরটা, যে সারদাকাণ্ডে চোর, তাঁর বক্তব্য কী? এতদিন আপনারা মেয়েকে সামলেছেন। এবার আমাদের দিন। আমরা মেয়েকে বিক্রি হতে দেব না। এভাবেই সব মন্দির দখল করে নেয়। আমাদের মন্দিরেও তাই করতে চেয়েছে। আমরা আমাদের মন্দিরের ক্ষেত্রে সেটা হতে দেব। সেটা হতে দেব না।’

    পুরোহিত সেই কথা বললেও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, মা কালীর পুজোর নামে প্রচুর টাকা নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মানুষ যে ভোগের চাল দেন, তা রাতের অন্ধকার পাচার করে দেওয়া হয়। করা হয় বিক্রি। মানুষের বিশ্বাস ভাঙিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আইনসিদ্ধ কোনও ট্রাস্টও নেই মন্দিরের।

    সেই আবহেই গত বুধবার শ্যামাসুন্দরী মন্দিরে আসেন কুণালরা। আসে পুলিশ। মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় যে পুজো নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মা কালীকে সামনে রেখে কোনওরকম আপত্তিকর কাজ করা যাবে না। বন্ধ করতে হবে সেরকম কাজ। মা কালীকে নিয়ে কোনওরকম ব্যবসা করা যাবে না বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    যদিও বিজেপির পোস্ট করা ভিডিয়োয় ‘পুরোহিত’-কে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করতে শোনা গিয়েছে। ওই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি দেখতে চাই, মায়ের জোর বেশি নাকি তোর জোর বেশি । শয়তান, তুই নির্বংশ হবি। তোকে আমি অভিশাপ দিলাম। তোর পুরো পরিবার। আর যে পাড়া ছেড়ে এসেছে, সেই পুরো পাড়া নির্বংশ হবে। বলে রাখলাম, আমার কথা সব সত্যি হবে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)