রবিবার তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যা করার করবে। আমি অনেকের গ্রেপ্তারির কথা শুনছি। কিন্তু একটাই বক্তব্য, এদের দেখিয়ে আসল চক্রীকে কোনওভাবেই যাতে লুকিয়ে রাখা না হয়।’ চৈতালীর এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন। চৈতালীর কথায়, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আমার কী মনে হচ্ছে সেই বিষয়টি জানাব।’ তবে কার উপর তাঁর সন্দেহ, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকার খুনে ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই মালদার বাসিন্দা। যে দুই সন্দেহভাজনের খোঁজ দেওয়ার জন্য পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করেছে তারাও সংশ্লিষ্ট জেলারই। ধৃতদের মধ্যে অমিত রজকের বাড়ি ছিল দুলালের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ মিটার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রজকের বাড়ি থেকেই দুলালের বাড়ির উপর নজর রাখা হতো। ঘটনায় কৃষ্ণ রজকের খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে কাউন্সিলার দুলাল সরকারকে।
যদিও রবিবার দুলাল সরকারের স্ত্রী রবিবার বলেন, ‘যে ভাবে ওকে খুন করা হয়েছে তা কোনও সাধারণ মানুষ বা কয়েকজন ছেলের পক্ষে করা সম্ভব নয়। যারা ওর উপর গুলি চালিয়েছে তাদের তো বটেই, সঙ্গে নেপথ্যে যে মূল মাথা তাকে ধরার আবেদনও রাখব’।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজারে তৃণমূলের কাউন্সিলার দুলাল সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি করে ৩ দুষ্কৃতী। মৃত্যু হয় এই তৃণমূল নেতার।