হিসাব বলছে, ২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিপুল টাকার মদ বিক্রি হয়েছে এ শহরে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি। বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোর তুলনায় বড়দিন ও বর্ষবরণে আটগুণ বেশি বিভিন্ন ধরনের মদ কিনেছেন সুরাপ্রেমীরা। আবগারি দপ্তরের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে বছরে গড়ে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়। তবে ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে ২০২৫ কে স্বাগত জানানোর এই সীমিত সময়েই রাজ্যে মদ বিক্রি একপ্রকার রেকর্ড করেছে।
কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, আলিপুর এবং বিধাননগর—চারটি জ়োনে ভাগ করেই মদ বিক্রির হিসাব কষে দপ্তর। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে আলিপুরেই সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে—মোট ৪২ কোটি টাকার। আবগারি দপ্তরের সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সাধারণ দিনে আলিপুর এলাকায় প্রতিদিন ৩ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়। উৎসবের মরশুমে তা তিনগুণ বেড়েছে।
বড়দিন ও বর্ষবরণের সময়ে আলিপুরের পর সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে উত্তর কলকাতায়। স্বাভাবিক দিনে যেখানে ৩ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়, সেখানে উৎসবের সময়ে বিক্রি হয়েছে ৩৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকার। দক্ষিণ কলকাতাতেও সুরাপ্রেমীরা ৩৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকার মদ্যপান করেছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে প্রতিদিন গড়ে সেখানে মদ বিক্রি হয় ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিধাননগর। সেখানে মদ বিক্রি হয়েছে ২৮ কোটি ৫ লক্ষ টাকার।
প্রতি মাসে পশ্চিমবঙ্গে মদ বিক্রি হয় গড়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার। কেবলমাত্র কলকাতাতেই বিক্রি হয় গড়ে ৩০০ কোটি টাকার মদ। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই কয়েক দিনে রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে মহানগরে।
আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতাবাসী যেভাবে উৎসবে গা ভাসিয়েছেন তার প্রমাণ মিলছে মদ বিক্রির পরিসংখ্যানে। বড়দিন এবং বর্ষবরণ উপলক্ষে এ বছর রেকর্ড মদ বিক্রি হয়েছে এ শহরে।’ সম্প্রতি বাজেটে মদের দামও বাড়ানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সুরাপ্রেমীরা গাঁটের কড়ি খরচ করতে যে এতটুকুও কার্পণ্য করেননি, এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ।