অনির্বাণের মায়ের দাবি, ছেলে আলুর ব্যবসা করেন। একই সঙ্গে প্রাইভেট টিউশন পড়ান। তিনি জানান, ছেলে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড করতেন। কিন্তু সরাসরি তা করতেন না। অন্য লোক দিয়ে করাতেন। শুক্রবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অনির্বাণ এরকম করতে পারেন, বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর প্রতিবেশীরাও। তাঁরাও বলছেন, এই ছেলে এরকম জাল চক্রে যুক্ত থাকবে, তেমনটা হতে পারে না। প্রদীপ পাত্র নামে অনির্বাণের এক প্রতিবেশীর কথায়, ছেলেটার কোনও বদনাম নেই এলাকায়। কোনও ভাবে ফেঁসে গিয়েছে বলে মনে হয়।
অন্য দিকে গণেশের মা বন্দনা চক্রবর্তী জানান, তাঁর ছেলে এলআইসির কাজ করেন। হাটতলায় তাঁর অফিস। লোকজনের কাছ থেকে প্রিমিয়াম নিয়ে অফিসে জমা দেন তিনি। তাঁকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গণেশের মা বলেন, ‘আমার নিরীহ ঠান্ডা ছেলে এরকম করতেই পারে না। সকলেই বলছেন, কেন ওকে ধরল?’
রিঙ্কাকে দেখে পাঠানো হয় গোয়েন্দা শাখার অফিসে। অন্য দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, এই শংসাপত্র জাল। এর পরই রিঙ্কাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিঙ্কাকে জেরায় উঠে আসে স্বরূপ রায় ওরফে রামু নামে এক যুবকের নাম। তিনি বর্ধমানের বড়নীলপুরের বাসিন্দা। তাঁকে গ্রেপ্তারির পরই সিঙ্গুরের অনির্বাণ ও গণেশের নাম জানতে পারে পুলিশ।