রেল পুলিশ থেকে স্টেশনে কর্মরত কর্মীদের নজর এড়িয়ে হঠাৎই এক্সপ্রেস ট্রেনের মাথায় উঠে পড়েছিলেন এক যুবক। তাঁর হাত পড়ে হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে তাঁর গোটা শরীর। সে দৃশ্য বীভৎস। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। রেল পুলিশ সূত্রে , ওই যুবকের নাম শম্ভু কুমার যাদব (৩৭)। তাঁর বাড়ি বোকারোতে।তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির সদস্যরা রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন। এর পর তাঁকে বোকারোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে যদিও হাওড়া রেল পুলিশের সুপারের (SRP) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ১৭ নম্বর প্লাটফর্মে। সকলের নজর এড়িয়ে ওই যুবক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের ছাদে উঠে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাইভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আগুনে পুড়ে ঝলসে যায় তাঁর শরীর। এই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন স্টেশনে উপস্থিত যাত্রীরা। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ানরা ছুটে আসেন। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানো হয়। ঘটনাস্থলে আসে রেল পুলিশও। আহত ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তাঁর।
কে ওই ব্যক্তি? কেন হঠাৎ এই কাণ্ড বাঁধালেন তিনি? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু কেন হঠাৎ ট্রেনের ছাদে উঠলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। যদিও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট স্টেশনে নজরদারির উপর প্রশ্ন উঠছে। এখনও এই দুর্ঘটনা নিয়ে রেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।