কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যাসাগর সেতুর উপর দিয়ে হাওড়া ঢোকার সময় টোল প্লাজার কাছে পুলিশ বাসটিকে আটকায়। ওই দুই যুবককে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের আটক করে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধর্মতলা ও সাঁতরাগাছি রুটের একটি বাসে।
বাসের যাত্রী দুই মহিলার অভিযোগ, ধর্মতলা থেকে সাঁতরাগাছি রুটের বাসে উঠে তাঁরা দেখেন লেডিস সিটে বসে দুই যুবক। একে একে বাসে উঠে মহিলারা তাদের লেডিস সিট ছাড়তে বলেন। অভিযোগ, দুই ব্যক্তি সিট না ছেড়ে নানাভাবে অঙ্গভঙ্গি ও অভব্য আচরণ করতে শুরু করে। এই ঘটনা দেখে বাসের অন্য মহিলারাও সেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করলে কার্যত গালিগালাজ শুরু করে দুই যুবক। সেই সময়ে চলন্ত বাস থেকেই এক মহিলা ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে সাহায্য চান।
কন্ট্রোল রুমের ফোন পেয়েই তৎপর হয় শিবপুর থানা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজ়ায় বাসটিকে দাঁড় করায় পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। মহিলাদেরও থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগ দায় করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। পুলিশের এই ইচিবাচক ভূমিকায় খুশি মহিলারা।
এক মহিলা বলেন, ‘আমরা ধর্মতলা থেকে বাসে উঠেছিলাম। সামনের লেডিস সিটে এক যুবক বসেছিল, তাকে উঠতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে ওঠেনি। কিছুক্ষণ বাসটা আসার পর আর একটা স্টপেজ থেকে যখন আর এক ভদ্রমহিলা ওঠেন তখন ফের লোকটিকে উঠতে বলা হয়। কিন্তু তখনও সে ওঠেনি। কিছুক্ষণ পর এক মহিলা তাঁর হাতে থাকা ক্যালেন্ডার দিয়ে ছুঁয়ে ওই লোকটিকে বলেন, ভাই একটু ওঠো না।’ মহিলার অভিযোগ, এর পরেই যুবকটি বাসের ওই মহিলার গায়ে হাত দেয়। আর একজন বয়স্ক ব্যক্তিও এগিয়ে এসে মহিলাকে মারধর করে বলে অভিযোগ।
গোলমাল দেখে এক মহিলা যাত্রী সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করেন। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শিবপুর থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছে যায়। অন্য এক বাস যাত্রী বলেন, ‘অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যে আসে। তাদের অনেকেই বুঝতে পারে না এবং মানতেও পারে না যে লেডিস সিট আলাদা করে হয় এবং সেই সিট ছেড়ে দিতে হয়। তার ফলেই এই ধরনের গোলমাল হচ্ছে।’
শিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷