সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু জ্ঞান আর ফেরেনি। ধীরে ধীরে ব্রেন ডেথের দিকে এগোতে থাকে সে। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। শুক্রবার রাতে কিশোরের ব্রেন ডেথ হয়। পরিবারের সদস্যদের মরণোত্তর অঙ্গদানের গুরুত্ব বোঝানো হলে তাঁরা কিশোরের অঙ্গদানে রাজি হন। মৃতের একটি কিডনি পান অ্যাপোলো হাসপাতালেই ভর্তি ২৬ বছরের এক যুবক। অন্য কিডনিটি পান এসএসকেএম হাসপাতালের ২৮ বছরের এক যুবতী।
অঙ্গদাতার লিভারও অ্যাপোলো হাসপাতালের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। আরএন টেগোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬ বছরের এক রোগীর বুকে মরণোত্তর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। কিশোরের মরণোত্তর ফুসফুস পান এসএসকেএম হাসপাতালের এক ৪৫ বছরের এক রোগী।
এ দিন সন্ধ্যাতেই সেই অপারেশনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি সফল করতে বেঙ্গল অর্গ্যান ডোনেশন সোসাইটির তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ তিওয়ারি কিশোরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কিশোরের বাবা-মা চান, তাঁদের ছেলের অঙ্গে অন্য মৃত্যুপথযাত্রী রোগীরা নতুন জীবন পান। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রতিস্থাপনের পর অঙ্গ গ্রহীতারা স্থিতিশীল আছেন।