মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে পরিবহণ দফতরের পরিকল্পনায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চালক এবং কন্ডাক্টর পদে নিয়োগের মাধ্যমে শুধুমাত্র পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিই নয়, বরং রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্যও কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে। পরিবহণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি বাসগুলির কার্যক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব হবে। প্রথম ধাপে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য যোগ্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। এক বার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়ত, নতুন নিয়োগের ফলে বর্তমানের তুলনায় সরকারি বাসের ট্রিপের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়বে। এর ফলে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষার সময় কমে যাবে এবং ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী হবে।
সরকারি বাস পরিষেবার উন্নতির এই উদ্যোগে কিছু সমস্যাও উঠে আসতে পারে। যেমন— অস্থায়ী কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি, প্রশিক্ষণের খরচ, এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ইত্যাদি। তবে পরিবহণ দপ্তরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার জন্য এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে। পরিবহণ দফতরের এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র যাত্রী পরিষেবার উন্নতি নয়, বরং রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেশি সংখ্যক বাস চালু হলে পরিবহণ ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের নির্ভরতা বাড়বে। পাশাপাশি, নতুন চাকরির সুযোগের ফলে অনেক পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবে।
পরিবহণ দফতরের আশা, যদি এই পরিকল্পনা সফল হয়, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের প্রতি দিনের যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা অনেকটাই বাড়বে। রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত ও কার্যকর হবে। একই সঙ্গে, সরকারের এই পদক্ষেপ মানুষের মধ্যে আস্থা এবং নিরাপত্তার বার্তা দেওয়াও সম্ভব হবে।