তাঁরা আরামবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের পিয়াসারার কাছে। আক্রান্তদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি তথা তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়ের অনুগামীরা তাঁদের আক্রমণ করে। অভিযোগ অস্বীকার করেন রামেন্দু।
শনিবার বিকেলে মহিলা সুরক্ষা বিল নিয়ে আরামবাগ শহরে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে মহিলাদের যোগ দিতে বারণ করেন রামেন্দুর অনুগামীরা। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পূর্ণিমা পণ্ডিত নামে দলের এক কর্মী বলেন, ‘আরামবাগে করবী মান্না ওই মিছিল ডেকেছিলেন। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময়ে রামেন্দু সিংহের কিছু অনুগামী লাঠি, ইট আমাদের দিকে ছুড়তে থাকে। শুরু হয় মারধর।’ আরও এক মহিলা বলেন, ‘মহিলাদের সুরক্ষার জন্য মিছিলে যেতে গেলে দলের লোকজন মারধর শুরু করে। এ তো লজ্জার।’
আক্রান্ত নাইটা মালপাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসে এ ভাবে অত্যাচার করছে। একজনের হাঁটু ফাটিয়ে দিয়েছে। এরা সবাই রামেন্দু সিংহের অনুগামী।’ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, যারা এ কাজ করেছেন তারা এলাকায় গুন্ডামি করে। তারকেশ্বরের তৃণমূলের পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডুর সঙ্গে রামেন্দুর বিবাদ দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে রামেন্দু বলেন, ‘আমার কোনও অনুগামী মারধর করেনি। ওখানে দু’টি বাস পাঠানো হয়েছে। কে কোন বাসে উঠবে, তা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।’
অপরাজিতা বিলকে আইনে পরিণত করতে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস শনিবার বিকেলে আরামবাগ শহরে মহামিছিল করে। এই মহিলা মিছিলে আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ, হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না ও তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু উপস্থিত ছিলেন। আরামবাগের পল্লিশ্রী মোড় থেকে বাসুদেবপুর মোড় পর্যন্ত মিছিল হয়। এই মিছিলে যোগ দিতে আসছিলেন তারকেশ্বরের পিয়াসারা এলাকার তৃণমূল নেতা ও নেত্রীরা। তখনই গন্ডগোল হয়। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নেতৃত্ব।