• দামোদরের চরে চলছিল বনভোজন, তার মাঝেই নজরে এল বহুপ্রাচীন এক মূর্তি, তারপর?...
    আজকাল | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতের মরশুম, স্বাভাবিকভাবেই এই সময়কালে জোর আয়োজন চলে বনভোজনের। নদীর চরে থিকথিকে ভিড়। দামোদরের তীরেও তেমনই পিকনিকে অর্থাৎ বনভোজনে গিয়েছিলেন কয়েকজন। আর তার মাঝেই চোখে পড়ল বহুপ্রাচীন মূর্তি।  একটি ব্যতিক্রমী সূর্য মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মূর্তিটিকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়ামে নিয়ে আসা হয়েছে রবিবার  দুপুরের পর।

    জানা গেছে, পিকনিক করতে গিয়ে দামোদর তীরে এই মূর্তি দেখতে পান কয়েকজন। একটি সূত্রে তার ছবি চলে যায় মিউজিয়াম এর আধিকারিক শ্যামসুন্দর বেরার হাতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানান। রেজিস্ট্রার তৎক্ষণাৎ খবর দেন  পুলিশ প্রশাসনে।

    মিউজিয়ামের  দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক  শ্যামসুন্দর বেরা জানান, এটি পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ দামোদর এলাকার হরিপুর গ্রামে। নদীগর্ভ থেকেই উদ্ধার হয়েছে মূর্তিটি। মনে করা হচ্ছে,  পাল-সেন যুগের নিদর্শন সেটি। দশম- একাদশ শতকের মূর্তি। মূর্তির বয়স কম করে এগারোশো বছর বলে প্রাথমিকাভবে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে , এই মূর্তিটি নানা কারণে বিশিষ্ট এবং এটি ব্যাসাল্ট শিলায় তৈরি।

    মিউজিয়াম এন্ড আর্ট গ্যালারির ইনচার্জ শ্যামসুন্দর বেরা আরও জানিয়েছেন, মূর্তিটির উচ্চতা তিনফুট। প্রস্থে দেড় ফুট। মিউজিয়ামে ইতিমধ্যেই বেশ কটি সূর্যমূর্তি ছিল, অবে নিজগুণে এই মূর্তি ব্যতিক্রমী। কারণ কাঈ? কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, এই মূর্তিতে  স্টেনের উপর কীর্তিমুখ এবং উড়ন্ত বিদ্যাধর আছেন। এই মূর্তিটির মুখমণ্ডল ভাঙা। এটিতে একচক্র এবং সপ্ত-অশ্ববাহী রথ আছে। অনুমান করা হচ্ছে, বালি তোলার সময় মুখমণ্ডল  ভেঙে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মূর্তির  উদ্ধারকার্যে রায়নার গ্রামবাসীরা সহায়তা করেন।
  • Link to this news (আজকাল)