• তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে দুই 'তৃণমূল কর্মী'র বিরুদ্ধেই হুলিয়া জারি!
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে আরও ২ অভিযুক্তের খোঁজে পুলিস। স্রেফ সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তদের নাম প্রকাশই নয়, ধরিয়ে দিতে বা খোঁজ দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে মালদহ জেলা পুলিস।

    তৃণমূল কাউন্সিলর  খুনে 'Wanted'। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবলু যাদব ও  কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন নাম দুই অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে পুলিস। যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন দুলালচন্দ্র, মালদহ পুরসভার সেই ২২ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা দু'জনেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ জনকে। ধৃতদের জেরা করেই বাবলু ও কৃষ্ণের খোঁজ মিলেছে বলে পুলিস সূত্রের খবর।

    বাবলুর স্ত্রী সুচরিতার বলেন, 'আমি শুনে স্তম্ভিত। প্রায় দু'আড়াই বছর ধরে এক বাড়িতে থাকলেও, আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমার মেয়ে আর আমি সম্পূর্ণ আমার নিজের রোজগারেই চলি।  ওদের সঙ্গে.. জাস্ট বলতে পারেন, বাড়িতে রাতে জাস্ট ঘুমাতে আসে, এটুকুই'। তাঁর দাবি, আমি যদি আগে টের পেতাম তাহলে ধরিয়ে দিতাম। ওর আসল বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে। কিছুই করত না। তবে সম্ভবত তৃণমূল করত। কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতো। এক তারিখের পর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি। পুলিশ দু তারিখ আমাদের বাড়িতে এসেছিল'। 

    ঘটনাটি ঠিক কী? মালদহ ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলা। সঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের  সহ-সভাপতি। বস্তুত, একসময়ে ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। দিনদুপুরে খুন হয়ে গিয়েছে সেই দুলালচন্দ্রই। কবে? নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই, ২ জানুয়ারি।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে প্লাইউড কারখানার তৃণমূল কাউন্সিলরের। ঘড়িতে তখন প্রায়  সাড়ে ১০টা। ২ জানুয়ারি সকালে কারখানার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন দুলালচন্দ্র। বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী। একটি গুলি লাগে মাথায়। সংকটজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দুলালচন্দ্রকে, কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)