আজও মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে, আক্ষেপ প্রদীপ ভট্টাচার্যর
প্রতিদিন | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত আজও করতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। প্রায় ৩ দশক পেরিয়ে গেলেও আফসোস যাচ্ছে না কংগ্রেস নেতাদের। শনিবারও প্রবীন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য আফসোসের সুরে বলছিলেন, “সেদিন মমতাকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। আজও প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে।”
১৯৯৭ সালের ৯ ডিসেম্বর। কলকাতায় কংগ্রেসের অধিবেশন। নেতাজি ইন্ডোরে সেই সভাস্থলে সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়, সীতারাম কেশরীর মতো নেতারা। অথচ সভায় নেই তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ততদিনে মমতার জনপ্রিয়তা চরমে। যুবনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়ে উঠেছেন। নেতাজি ইন্ডোরে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন চলেছে, তখনই স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মীসভা করেছিলেন মমতা। তাতে রীতিমতো জনজোয়ার দেখা যায়। সেদিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, সোমেন মিত্র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে চলতে পারবেন না। কংগ্রেস হাই কম্যান্ডকে তখন সোমেন এবং মমতা- দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হত। সীতারাম কেশরী সেদিন সোমেনকে বেছে নিয়েছিলেন।
সেটা আন্দাজ করে ২২ ডিসেম্বর মমতা নতুন দল তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তার আগেই অবশ্য কংগ্রেস তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করছেন, সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ভুল কংগ্রেসের। যার খেসারত আজও দিতে হচ্ছে। শনিবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে সোমেন মিত্রর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রদীপ বলছিলেন, “সেদিন সোমেনের উপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল যে মমতাকে বহিষ্কার করতে তিনি বাধ্য হন। তার প্রায়শ্চিত্ত আজও কংগ্রেস দলকে করতে হচ্ছে।”
প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “সেদিন আমি শ্রীরামপুর থেকে ফিরছিলাম। সোমেনদার ফোন এল। জানলাম, সীতারাম কেশরী ফোনে সোমেনকে বলেছেন, মমতাকে বহিষ্কার করতে হবে। আমরা করেছি, তোমাকেও করতে হবে। আমি সোমেনকে বলেছিলাম, তুমি করো না। কিছুতেই করো না। কিন্তু সেদিন যে চাপ তৈরি হয়েছিল তাতে সোমেন বাধ্য হয়েছিল। তার প্রায়শ্চিত্ত আজও করতে হচ্ছে। জানি না এই খাদ থেকে আমরা কবে এবং কীভাবে উঠে আসতে পারব।”