ওপরের দিকে উঠছে, সোনারপুরের বাড়িতে তেল নাকি অন্য কিছু? রহস্যভেদে নামছে যাদবপুর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
সোনারপুরের একটি বাড়িতে চুঁইয়ে উঠছে সন্দেহজনক তরল পদার্থ। এমনকী কার্নিশে জমার পরে সেখান থেকে টপ টপ করে পড়ছে। কালচে চ্যাটচ্য়াটে। কী এটা? কী এটা সেটা ভেবে কূল কিনারা করতে পারছেন না অনেকেই। তরল তেল জাতীয় কিছু ছাপ বাড়ির বিভিন্ন অংশে। এনিয়ে ক্রমশ চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে। ওই তরল পদার্থ তেল জাতীয় কিছু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু তেল জাতীয় পদার্থ এই বাড়ির কার্নিশে, দেওয়ালে কীভাবে আসছে সেটা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। এমনকী দেওয়াল বেয়ে ক্রমশ ওপরের দিকে উঠছে। সেটা কীভাবে সম্ভব সেটা নিয়েও প্রশ্ন। এদিকে ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন ওই বাড়িতে।
বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি, বছর দুয়েক ধরেই এই ধরনের বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভা তরফ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এসে নমুনা সংগ্রহ করবেন। মাটির নীচ থেকে কিছু আসছে কি না সেটাও দেখা হতে পারে।
এদিকে পরিবারের লোকজনের দাবি, বাড়ির রান্না কেন যদি হোটেলের রান্নাও হয় তবে এই ধরনের হতে পারে না। এটা একেবারে অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার। অবাক হচ্ছি আমরা।
এদিকে পাড়ার লোকজনও ভিড় করছেন। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি এর মধ্য়ে ভয়াবহ কিছু হবে না তো! এদিকে এই পরিস্থিতির জন্য বাড়ির কোনও ক্ষতি হবে না তো সেই আশঙ্কাও ক্রমে জোরালো হচ্ছে।
বাড়ির সদস্যা পম্পা সরকার বলেন, ২০২৩ সালের মে মাসে আমি বাড়িটাতে রঙ করালাম। কালার করার সময় প্রাইমার করার সময় দেখলাম ফের তেল ধরনের বেরিয়ে আসছে। বাঁদিকের দেওয়াল থেকে সামনের দিকে আসছে। তেল জাতীয় জিনিসটা নীচের দিক থেকে দেওয়ালের ওপরের দিকে চলে যাচ্ছে।নীচে তেল ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে।থানা, পুরসভা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র জানিয়েছি। আমাদের বাড়ি ১৯৭৪ সালের বাড়ি।
গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। তবে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিম এনিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। প্রয়োজনে খুঁড়ে দেখা হতে পারে নীচে কোথাও এর উৎস রয়েছে কি না। মূলত দুটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ওই বাড়ির দেওয়ালে যেটা রয়েছে সেটা বাস্তবে কী। আর সেই চ্যাটচ্যাটে তরল জাতীয় জিনিসটির উৎস কী!কারণ সেটা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু উৎস কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না।
ওএনজিসিকেও জানানো হয়েছে। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগীয় প্রধান পার্থপ্রতীম বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, অতটা দাহ্য নয়। পঞ্চাশ -ষাট বছর আগে যদি কারখানার বর্জ্য বা পুরসভার বর্জ্য ওখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে থেকে থাকে অনেক সময় এই ধরনের পরিত্যক্ত ফ্লুইড থাকতে পারে। সেটা থেকেও হতে পারে। সয়েল বোরিং করার পরামর্শ দিয়েছি। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে।