নতুন পোর্টাল খুলল কলেজ সার্ভিস কমিশন, নাম কী? কেমন সাহায্য পাওয়া যাবে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল কলেজ সার্ভিস কমিশন। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩৪টি বিষয়ে মডেল ‘অ্যানসার কি’ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। সেইসব প্রশ্ন–উত্তর কলেজ সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্টে ৫৮ হাজার ৮৬৭ জন পরীক্ষার্থীর কোনও বিষয়ে কোনও প্রশ্ন–উত্তর ভুল মনে হলে অথবা মতপার্থক্য তৈরি হলে তিনি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এইসব কারণে প্রথম কলেজ সার্ভিস কমিশন পৃথক পোর্টাল খুলেছে। এই নয়া পৃথক পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে—‘অনলাইন চ্যালেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল’।
এবার এখানে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের নানা জিজ্ঞাস্য জেনে নিতে পারবেন। রাত পোহালেই ৬ জানুয়ারি। ওইদিন মাঝরাত পর্যন্ত যে কোনও বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর নিয়ে অভিযোগ থাকলে পরীক্ষার্থীরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানাতে পারবেন। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের জন্ম–তারিখ দিয়েই পোর্টালে লগ–ইন করতে পারবেন। এই বিষয়ে কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন দীপক কর বলেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করার জন্য এমন পোর্টাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে পরীক্ষার্থীরা নানা বিষয় জেনে নিতে পারবেন। আবার কোনও অভিযোগ থাকলে সহজেই আপলোড করতে পারবেন। কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞরা সেসব অভিযোগের পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ফলাফল প্রকাশের পর আর অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।’
নিজের অভিযোগের সমর্থনে পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় নথি ও তথ্য জমা দিতে পারবেন। প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর চ্যালেঞ্জ করতে ২০০ টাকা অনলাইনে জমা দিতে হবে। উত্তর নিয়ে যদি অভিযোগ সঠিক হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী ২০০ টাকা ফেরত পাবেন। সেটা ভুল হলে টাকা ফেরাবে না কলেজ সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষার্থীরা www.wbcsc.org.in/www.wbcsconline.in ওয়েবসাইটে গিয়ে ২৬তম সেট পরীক্ষার প্রত্যেকটি বিষয়ের সব প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরও দেখতে পাবেন। অভিযোগ জমা পড়ার পর ১০ দিন সময় লাগবে সব কিছু যাচাই করতে। রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট।
এই পরীক্ষায় যাতে কেউ জালিয়াতি করতে না পারে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে কোনও পরীক্ষার্থীকে এমন উত্তর চ্যালেঞ্জ করতে হলে কলেজ সার্ভিস কমিশনের অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হতো। আবার ইমেলে যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হতো। সেসব বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই করানো হতো। ফলে বিস্তর সময় লেগে যেত। তার জেরে ফলপ্রকাশ করতেও দেরিই হতো। নতুন পদ্ধতিতে এই প্রক্রিয়া কোনও বিলম্ব হবে না। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলেজ সার্ভিস কমিশন ফাইনাল ‘অ্যানসার কি’ আপলোড করতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্টের ফলপ্রকাশের সম্ভাবনা।