অবশেষে মানরক্ষা! সদস্য সংগ্রহে পাশ নম্বরের থেকেও বেশি তুলল বঙ্গ বিজেপি
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জানুয়ারি ২০২৫
টার্গেট ঠিক করে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। অক্টোবরের শেষ দিকে কলকাতায় এসে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সদস্য সংগ্রহে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। কিছু ক্ষেত্রে ঢিলেমি, কিছু ক্ষেত্রে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ছন্নছাড়া ভাবটা কোথাও যেন থেকেই গিয়েছিল। এসবের মধ্য়েই বার বার মুখ পুড়েছে পদ্ম নেতাদের। সময় যত এগিয়েছে দেখা গিয়েছে সাফল্য়ের ধারে কাছে পৌঁছতে পারছিল না বিজেপি নেতৃত্ব।
বিভিন্ন সভা সমিতিতে, দলের মিটিংয়ে এনিয়ে উদ্বেগ একেবারে ঝরে ঝরে পড়েছে। একাধিক সভাতে দেখা গিয়েছে মুখ কালো করে বসে রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী হুগলিতে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে বেফাঁস কথা বলেই ফেলেছিলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এনিয়ে দলের অন্দরে নানা কথা হয়েছিল।
তবে এতসব কিছুর পরে এবার কিছুটা হলেও টেনশন মুক্তি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আমরা খুব খুশি। ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের ৪০ লক্ষ সদস্য হয়েছে। শুধু সংখ্য়া নয়, এই অভিযানে স্বচ্ছতার নিরিখেও আমরা খুব ভালো জায়গায় রয়েছি। সব মিলিয়ে ৪০ লাখ সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজেপি। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর এবারের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যে জল মেশানো হয় সেটাও কার্যত বুঝিয়ে দিতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে রবিবারই বাংলায় দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের শেষ দিনে। তবে তারপরই সদস্য সংগ্রহ অভিযান যে পুরো বন্ধ হয়ে যাবে তেমনটা নয়। এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলতেই থাকবে। তবে এবারে কেবলমাত্র আর মিস কল মেরে সদস্য সংগ্রহ হয়নি। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা ছিল।
কিন্তু আচমকা কীভাবে শেষ বেলাতে এভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে সদস্য সংগ্রহ করতে পারল বিজেপি?
সূত্রের খবর, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে এবার বার বার ধাক্কা খেয়েছিল বিজেপি। নম্বর যেন কিছুতেই উঠছে না। খাটাখাটনি হচ্ছে কিন্তু দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে পাস নম্বরও উঠছে না। এর উপর কেন্দ্রীয় নেতাদের নানা খোঁচা। একেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা। শেষ পর্যন্ত একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নামে একাধিক সাংগঠনিক জেলা। তার মধ্যে অন্যতম সুকান্ত মজুমদারের দক্ষিণদিনাজপুর, নদিয়া উত্তর ও নদিয়া দক্ষিণ। জলপাইগুড়ি, তমলুকও ভালো ফল করেছে। রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিজেপি বিধায়ক অসীম বিশ্বাসও নীরবে ভালো রেজাল্ট এনেছেন। আর শেষ সাতদিনে কার্যত দম লাগিয়ে খেটে পাস মার্কসের থেকেও বেশি তুলে ফেলল বিজেপি।