শনিবার দুপুরে ভরতপুর থানার মির্ধাপাড়া গ্রামে মমতাজ বেগম নামে এক যুবতীর দেহ উদ্ধার করেন বাড়ির লোকজন। কাছে ভরতপুর গ্রামেই মমতাজের শ্বশুরবাড়ি। প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় যুবক সাঙ্গীর শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। কর্মসূত্রে স্বামী বিদেশে থাকেন। তাই সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে ছিলেন মমতাজ। যুবতীর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, শনিবার দুপুরে একটি ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া পায় মমতাজকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার ভাই মীর উজ্জ্বল বলেন, ‘‘জামাই সৌদি আরবে থাকে। ও কাজে যাওয়ার সূত্রে অনেক টাকা ঋণ করেছিল। সংসার চালানোর জন্যও দিদিও কিছু টাকা লোকজনের কাছে ধার করেছিল। অন্য দিকে, জামাই ঠিক মতো টাকা পাঠাচ্ছে না। ওই কারণে দিদি মানসিক চাপে ছিল। আমাদের মনে হয়, সেখান থেকেই ও আত্মহত্যা করেছে।’’ এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী পুলিশ পদক্ষেপ করবে।