গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের জলসীমার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের ছ’টি ট্রলার। ট্রলারগুলিকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। পরে মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ওই ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক করা ছ’টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা।
শুরু থেকেই মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল নবান্ন। মৎস্যজীবীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করা হয়। বাংলাদেশে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়া হয়।
মুক্ত ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সাগরদ্বীপে পৌঁছবেন সোমবার সকালে। সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়ায় আটক করা হয়েছিল ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী এবং দু’টি ভেসেলকে। রবিবার তাঁদেরকেও বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।