ঘটনাটি ঠিক কী? শিলিগুড়ি শহরের অদূরে ১৬২ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে মহানন্দা অভয়ারণ্য। অভয়ারণ্যের চারদিকেই জল। বয়ে চলেছে মহানন্দা নদী। আর সেই নদীকে নিয়েই যতকাণ্ড! স্থানীয় চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তর্গত মিলন মোড়কে ডান দিকে রেখে নদীর পাডের দিকে এগালে দেখা যাবে, মহানন্দী গর্ভে তৈরি হয়ে গিয়েছে রিসর্ট। চলছে প্লটিং-ও!
রিসর্ট কর্তৃপক্ষে সাফাই, তাঁদের কাছে জামি পাট্টা রয়েছে। নদী ও লাগোয়া সরকারি জমি লিজ নিয়েই তৈরি করেছে। রয়েছে বৈধ কাগজপত্র। কারা দিল পাট্টা? মুখ কুলুপ স্থানীয় পঞ্চায়েতের। মাটিগাড়ার বিডিও-র বক্তব্য, 'আমার কিছু জানা নেই। এভাবে কোনও অনুমতি নদীতে বা নদীর পারে দেওয়া হয় না। নিজে খতিয়ে দেখব গোটা বিষয়টা'।
এদিকে গত সপ্তাহেই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জামি দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'আমি পরিষ্কার বলছি,নতুন করে আর কোনও দখলদারি যেন না হয়'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'অনেকে বাইরে থেকে আসছে, সরকারি জমির উপরে ফ্ল্যাট তৈরি করছে, বেআইনিভাবে এবং ফ্ল্যাটগুলি বিক্রি করে দিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। এরা স্থানীয় নয়। তাঁকে যেখান থেকে পার, ধরে আনো। মিউটেশন কে দিল? অনুমতি দিল? তাঁদের বিরুদ্ধেও কিন্তু ব্যবস্থা হবে'।
শিলিগু়ড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের Enviroment Empowerment কমিটি আছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা থাকেন। আমি একই বিষয় নিয়ে লাটাগুড়িতে একটি মামলা দায়ের করেছি। পরবর্তীকালে সেটি আমি গ্রিন বেঞ্চে নিয়ে যাচ্ছি। কথা দিচ্ছি, পরিবেশ বা প্রকৃতিকে যে বিক্রি করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার, শুধু উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন নয়, আইনি রাস্তায় রাস্তার মোকাবিলা করা হবে। পুরোটা দেখে আইনগত ব্য়বস্থা নিতে উদ্যোগী হব'।