• জয়পুরের হিজলডিহা রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা সমিতি আশ্রমে ভক্তদের সম্মেলন
    বর্তমান | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: রবিবার জয়পুরের হিজলডিহা রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা সমিতি আশ্রমে রামকৃষ্ণ পুঁথি রচয়িতা অক্ষয় কুমার সেন স্মৃতি ধামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল। সেই সঙ্গে এদিন ভক্ত সম্মেলন হয়। সেখানে অক্ষয়কুমার সেন ছাড়াও রামকৃষ্ণ কথামৃতের রচয়িতা শ্রীম মহেন্দ্রনাথ গুপ্তকে নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও এদিন অক্ষয়কুমার সেন স্মারক মেধা বৃত্তির সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলুড় মঠের রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি স্বামী সত্যেশানন্দজি মহারাজ। মিশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জ্ঞানলোকানন্দজি মহারাজ। ওই উপলক্ষ্যে এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করে বিষ্ণুপুরের বিশিষ্ট ধ্রুপদী শিল্পী জগন্নাথ দাশগুপ্ত এবং বেহালা পরিবেশন করেন অনুপম আচার্য। 

    হিজলডিহা রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা সমিতির সম্পাদক বিকাশ পালধি বলেন, রামকৃষ্ণ পুঁথির রচয়িতা অক্ষয় কুমার ছিলেন জয়পুরের ময়নাপুরের বাসিন্দা। তাই তাঁকে উৎসর্গ করে আশ্রমে একটি স্মৃতিধাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন তার ভিত্তিপ্রস্তার স্থাপন করা হয়। পরে ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান, ধর্মসম্মেলন এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অক্ষয় কুমার সেন ছাড়াও রামকৃষ্ণ কথামৃতের রচয়িতা শ্রীম মহেন্দ্রনাথ গুপ্তকে নিয়ে আলোচনা সভা হয়। 

    আশ্রমের অপর এক সদস্য শান্তিনাথ চক্রবর্তী বলেন, রামকৃষ্ণদেবের সান্নিধ্যে থাকাকালীন মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত ঠাকুরের বাণী কাগজে লিখে রাখতেন। রামকৃষ্ণদেবের প্রয়াণের পর তিনি মা সারদার অনুমতি নিয়ে রামকৃষ্ণ কথামৃত বই প্রকাশ করেন। এছাড়াও রামকৃষ্ণদেবের গৃহী ভক্ত জয়পুরের ময়নাপুরের বাসিন্দা অক্ষয় কুমার সেন ঠাকুরকে নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের কাছে। কিন্তু, তিনি পড়াশোনা বেশি জানতেন না। তবে স্বামীজি এক গোপালকের বড় মানের ইংরেজি সাহিত্যিক হওয়ার গল্প শুনিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেন। তারপরেই তিনি রামকৃষ্ণ পুঁথি লেখেন। 

    এদিন মূলত ওই দু’জনকে নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বামী সত্যেশানন্দজি মহারাজ অক্ষয় কুমার সেনকে নিয়ে এবং স্বামী জ্ঞানলোকানন্দজি মহেন্দ্র গুপ্তকে নিয়ে আলোচনা করেন। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)