দু’বছরেও অসমাপ্ত কুশমণ্ডি কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ, হতাশা শিল্পীমহলে
বর্তমান | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: দু’বছরেও শেষ হল না কুশমণ্ডি কমিউনিটি হল তৈরির কাজ। হতাশ কুশমণ্ডির খনপালা ও নাট্য ব্যক্তিত্বরা। কুশমণ্ডি সদরে পিডব্লিউডি রোডসের প্রায় ১৫ শতক জায়গার উপর ৩০০ আসন বিশিষ্ট কমিউনিটি হলের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ শুরু করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। প্রায় দু’বছর হতে চললেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর কুশমণ্ডি কমিউনিটি হল হস্তান্তর করতে পারেনি ব্লককে। পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ কবে শেষ হবে, সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নাট্য ব্যাক্তিত্ব থেকে খনপালা গানের সঙ্গে যুক্তরা।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে দুই দিনাজপুরকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে কুশমণ্ডির বিধায়ক রেখা রায় কমিউনিটি হল তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাজে। তারপর ৩০০ আসনের কমিউনিটি হল তৈরির কাজ শুরু করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর।
কুশমণ্ডি ব্লকে প্রচুর লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পীদের বাস। মুখা নাচ থেকে খনপালা ও গম্ভীরা লোকগানের মতো জনপ্রিয় লোক সংস্কৃতি চর্চা হয়ে থাকে। এছাড়া কুশমণ্ডির নাটকের দলের রাজ্যজুড়ে সুনাম। কমিউনিটি হল তৈরি হলে লোকসংস্কৃতি, নাটক চর্চার পাশাপাশি নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে বলে মনে করছেন এলাকার লোকশিল্পী ও নাট্যকাররা। কুশমণ্ডির নাট্য ব্যক্তিত্ব সুরজিৎ ঘোষ বলেন, শিল্পী হিসেবে বলতে পারি কুশমণ্ডিতে যে কমিউনিটি হল তৈরি হয়েছে, সেখানে লোকসংস্কৃতি খনপালা, গম্ভীরা গান হতে পারে। কিন্তু নাটক করা যাবে না। খুব বেশি হলে রিহার্সাল করা যেতে পারে। নাটকের জন্য যে স্টেজ প্রয়োজন, সেটি হয়নি। আমাদের একটা আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে। তবুও চাই কমিউনিটি হল দ্রুত উদ্বোধন হোক।
খনপালা গান গবেষক সুদেব সরকারের কথায়, কুশমণ্ডি তথা দিনাজপুর জেলাজুড়ে খনপালা, গম্ভীরা, মুখা নাচের মাধ্যমে রোজগার করেন অনেক শিল্পী। কুশমণ্ডিকে জেলার সংস্কৃতির আঁতুরঘর বলা হয়। কিন্তু আমাদের আক্ষেপ কমিউনিটি হল তৈরি হয়েও চালু হল না। দ্রুত সমাধান হলে লোকশিল্পী ও অন্যরা উপকৃত হবেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, কুশমণ্ডি কমিউনিটি হলের কাজ এমাসের মধ্যেই শেষ করে উদ্বোধন করা হবে। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে।