সরকারি জায়গা দখল করেই ব্যবসা রায়গঞ্জের মোহনবাটিতে
বর্তমান | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: ঘোষণাই সার। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে রায়গঞ্জ পুরসভার তরফে দোকানদারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনকী চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। পুরসভা মাইকিং করে জানায়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে হবে। কিন্তু জবরদখল সরাতে এখনও কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি পুরসভা। রায়গঞ্জের মোহনবাটি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিকাশিনালার স্ল্যাব ব্যবসায়ীদের দখলে। স্ল্যাবের উপর দোকান এগিয়ে আসায় নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই অভিযোগে পুরসভা মাইকিং করে সরে যাওয়ার কথা বলে। তারপরও রায়গঞ্জের মোহনবাটি এলাকায় দেদারে ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা। রায়গঞ্জের পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের সাফ কথা, সরকারি জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে অভিযান চললেও একমাত্র রায়গঞ্জে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে। সেসময় রায়গঞ্জে উপনির্বাচন থাকায় জবরদখল মুক্ত অভিযান হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। শহরবাসীর অভিযোগ, শহরে কোনও ফুটপাত নেই। পুরোটাই দোকানদারদের দখলে। ঘড়িমোড় থেকে মোহনবাটি মোড় পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন দোকানদাররা। রায়গঞ্জের বাসিন্দা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভা মাইকিং করেই দায় সেরেছে। কোনও পদক্ষেপ করেনি। যানজট সমস্যা মেটাতে ও পথচারীদের সুবিধার্থে অবিলম্বে ফুটপাত দখলমুক্ত করা উচিত পুরসভার।
ডিসেম্বরে মাঝামাঝিতে পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পুর প্রশাসক অরিন্দম সরকার মাইক নিয়ে বের হন। সরকারি জায়গা থেকে দোকানের জিনিসপত্র তুলে নিতে বলেন। দোকানদার সন্দীপ রায় বলেন, পুরসভা একবার বলেছিল। তারপর আর কিছু বলেনি। কেউই সামগ্রী সরাননি। তাই আমিও সরাইনি। তবে পুরসভা বললেই সরে যাব।একই বক্তব্য মহম্মদ আতারুউদ্দিনেরও। রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুরসভা ও পূর্তদপ্তরকে উদ্যোগ নিতে হবে। দরকারে পুলিসি সাহায্য নিতে হবে।