• জাঁকিয়ে শীত নেই, পরিযায়ী পাখির কলরবে ভরে উঠেছে সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি দ্বীপ
    বর্তমান | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডিসেম্বরের শুরু থেকে ঠান্ডার আমেজ অনুভব করা গেলেও সেভাবে জাঁকিয়ে শীতের এখনও দেখা মেলেনি। তবে তাতে সুন্দরবনের উপকূলে বিদেশি অতিথিদের ভ্রমণে ভাটা পড়েনি। দলে দলে পরিযায়ী পাখি উড়ে এসে ভিড় করছে সেখানে। কমন শেলডাক, হুইসলিং ডাক, বিভিন্ন প্রজাতির সি গাল-এর কলরবে ভরে উঠেছে বাদাবন ও নদীর চর। যেন শীতের মরশুমে পিকনিকের আসর বসেছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যান্য জায়গায় এবার এখনও পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিদের ভিড় সেভাবে জমে ওঠেনি। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় গতবারও ভালো সংখ্যক পাখি এসেছিল। এবার সেভাবে তাদের দেখা মিলছে না। তার কারণ কী, তা পর্যালোচনা করা উচিত। সুন্দরবনে যে সব পরিযায়ী পাখিরা এসেছে, তার মধ্যে বিরল প্রজাতির পাখির দেখা মেলেনি এখনও। জম্বুদ্বীপ, ফ্রেজা, লোথিয়ান, কালিস্তান ও কলসদ্বীপে এই পাখিদের মেলা বসেছে। ভাটার সময় নদীর চরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দলবল নিয়ে সময় কাটাচ্ছে। কেউ জলে স্নান করছে, কেউবা শিকার ধরতে ব্যস্ত। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এই সব পাখি উড়ে আসতে শুরু করে। এবারও তাদের আগমনে কোনও বাধা আসেনি। পাখি বিশেষজ্ঞ অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, এবার খামখেয়ালিপনা আবহাওয়া হলেও তাতে পাখিদের আটকানো যায়নি। তারা সুন্দরবনের উপকূলবর্তী দ্বীপে এসে খোসমেজাজে সময় কাটাচ্ছে। যেমন ফ্রেজারগঞ্জে প্রতি আড়াইশো স্ট্রিক থ্রোটেড সোয়ালো অস্থায়ী ঘাঁটি গেড়েছে। এবারে প্রচুর কমন শেলডাক এসেছে। দেখা মিলেছে পালাল গালেরও। কিন্তু জেলার অন্যান্য জায়গায় পাখিদের ঝাঁক কিন্তু সেভাবে নেই। সেখানকার চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও নিশা গোস্বামীর বক্তব্য, শীতের এখনও কিছুটা সময় রয়েছে। একটু ঠান্ডা পড়লেই আরও পাখি আসবে।
  • Link to this news (বর্তমান)