গত এক মাসে উত্তর–পশ্চিম ভারতে অন্তত আট বার ঝঞ্ঝার জেরে ঠান্ডার দফারফা হয়েছে। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিওরোলজির (আইআইটিএম) বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘ককেশাস পর্বতের কাছ থেকে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া শীতের সময়ে ইরান ও আফগানিস্তানের উপর দিয়ে ভারতের উত্তর–পশ্চিমে পৌঁছয়। কিন্তু, ওই সময়েও ভারতের বাতাসে যথেষ্ট পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকে। ঠান্ডা হাওয়া সেই বাষ্পকে জলে পরিণত করে। তার প্রভাবেই ঝঞ্ঝা তৈরি হয়। এটা অস্বাভাবিক নয়।’
আবহাওয়া–বিশেষজ্ঞ রবীন্দ্র গোয়েঙ্কার কথায়, ‘আগামী বুধবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করবে। সেই ঠান্ডা স্থায়ী হবে পরের চার–পাঁচ দিন।’ অর্থাৎ, আগামী উইকএন্ডে শীতের আমেজ উপভোগ করা যাবে বলে আশা করা যেতে পারে। তবে একই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন যে, কাল, মঙ্গলবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও বৃষ্টি স্থায়ী হবে না। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বেশ ক’টি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাসও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং নদিয়া। এ সপ্তাহেই সিকিমের সঙ্গেই সান্দাকফু–র মতো উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে।