• পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দুলাল? রাজনৈতিক কারণেই খুন? স্ত্রী চৈতালির মন্তব্য ঘিরে জল্পনা
    এই সময় | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • মালদার নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিই কি কাল হয়ে দাঁড়াল? জল্পনা উস্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য স্ত্রী চৈতালী সরকারের। জেলা রাজনীতির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই নাকি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বড় দায়িত্ব দিতেন দুলালকে। তিনি রাজ্যের শাসক দলের জন্মলগ্নের সৈনিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহভাজনও ছিলেন। আর রাজনীতির দুনিয়ায় দুলালের এই উন্নতিই কি তাঁকে ঈর্ষার পাত্র করে তুলেছিল? উঠছে প্রশ্ন।

    সোমবার দুলাল সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে চৈতালি সরকার জানান, তাঁর স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে একজন নয়, একাধিক লোক জড়িত বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

    চৈতালি বলেন, ‘শুনেছিলাম ও চেয়ারম্যান হবে। হয়ত অনেকে ওর এই উন্নতি নিয়ে হিংসা করেছে। ভেবেছে ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছে।’ তবে দলের কারও দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে নারাজ চৈতালী। তিনি বলেন, ‘এখনই আমি এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না। পুলিশ তদন্ত করুক। পারলৌকিক কাজ মিটলে আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব।’ তবে তাঁর এই মন্তব্যে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে।

    অন্য দিকে, এ দিন চৈতালির সঙ্গে দেখা করার পর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন চন্দ্রিমাও। দুলালের সুরক্ষা তুলে নেওয়া নিয়ে আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই চন্দ্রিমা বলেন, ‘কার কথায় সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তা আগামী দিনে সামনে আসবে। যে বা যারা এই কাণ্ড করেছে, তাদের রেয়াত করা হবে না।’

    উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলার দুলাল সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি করে ৩ দুষ্কৃতী। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)