ফের মেট্রোতে আত্মহত্যার চেষ্টা, বিঘ্নিত পরিষেবা। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। আপাতত তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার জন্য তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ দিকে এই দুর্ঘটনার ফলে বিঘ্নিত মেট্রো পরিষেবা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে। এর ফলে বিপাকে পড়তে হয়েছে বহু মেট্রো যাত্রীকে। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে মেট্রোতে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের চাপ থাকে। এই দুর্ঘটনার ফলে বিঘ্নিত পরিষেবা। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মেট্রো রেলে আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। সিসিটিভি-র নজরদারি থেকে শুরু করে রেল পুলিশের সুরক্ষা বর্ম, কোনও কিছুই কাজে আসছে না। আগামী দিনে সমস্ত মেট্রো স্টেশনে ‘গার্ডরেল’ বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পরীক্ষামূলকভাবে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই গার্ডরেল করার পদক্ষেপ আদতে কতটা উপযোগী, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। একাধিক পদক্ষেপ করেও এই ধরনের ঘটনায় লাগাম টানা যাচ্ছে না।
আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হয় পরিষেবা। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আম নাগরিক থেকে শুরু করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকেও। এই ধরনের ঘটনা ঠেকানোর জন্য সচেতনতা প্রচারও চালানো হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু, তারপরেও কেন হুঁশ ফিরছে না সাধারণ মানুষের? উঠছে প্রশ্ন।