পাব, ক্লাব, হোটেল-রেস্তোরাঁর পাশাপাশি অনেকেই এখন বাড়িতেও পার্টির আয়োজন করেন। মদ কেনার ঝক্কিও অনেক কমে গিয়েছে। বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপই বাড়ি বয়ে মদ দিয়ে যায়। ফলে বিক্রিও অনেকটাই বেশি হয়। আর তা বিক্রি করে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ঘরে তোলে আবগারি দপ্তর।
হিসাব বলছে, বিলিতি মদের তুলনায় জেলায় বেশি চাহিদা ছিল দেশি মদের। তথ্য বলছে, প্রতি মাসে পশ্চিমবঙ্গে মদ বিক্রি হয় গড়ে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার। জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর মদ বিক্রিতে এগিয়ে। ওই জেলার আবগারি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি মদ বিক্রির পরিমাণ ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৬৩ লিটার। যার বিক্রয় মূল্য ৯ কোটি ২৫ লক্ষ ১১ হাজার ৮৩৩ টাকা।
পূর্ব মেদিনীপুরে এমনিতেই সারা বছর পার্টি মোড ‘অন’। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, কোলাঘাট, হলদিয়ার মতো পর্যটন কেন্দ্রে বছরভরই মানুষের ভিড় থাকে। ফলে মদের ব্যবসাও ভালোই চলে। তবে থার্টি ফার্স্ট নাইট বা নিউ ইয়ার সেলিব্রেশনের দিনগুলিতে এ ব্যবসা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
কারণ, এই সময় এমনিতেই হোটেলগুলি ঠাসা, তার উপর আবার বিভিন্ন জায়গায় বর্ষবরণের জন্য নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতার শহুরে ভিড় ছেড়ে অনেকেই ব্যাগ গুছিয়ে হাজির হন পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে।
জেলা আবগারি বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি ইন্ডিয়া মেড লিকার বিক্রি হয়েছে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ০৯২ লিটার। ফরেন লিকার বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭৯ লিটার, বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৯৩ লিটার। যদিও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মদ বিক্রি করে রেকর্ড গড়া এই প্রথম নয়। বছর বছরই দুর্গাপুজো, বড়দিন, নিউ ইয়ারে কয়েক কোটি টাকার মদ বিক্রি হয় এই জেলায়।