• ‘তোমাদের বাঘ আমাদের এখানে কেন ঢুকে পড়বে...!’, জ়িনাতকে নিয়ে কী বললেন মমতা?
    এই সময় | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • সীমানা পেরিয়ে চলে আসছে ভিন রাজ্যের বাঘ। ঝাড়খণ্ড-ওডিশা সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে মানুষকে। বন্ধ রাখতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সেই বাঘকে উদ্ধার করতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজ্যের বনকর্মীদের। সোমবার গঙ্গাসাগর থেকে বিষয়টি নিয়ে ওডিশা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ়িনাতকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওডিশাকে। ফের একটি বাঘ রাজ্যের সীমানায় ঢুকেছে বলে দাবি তাঁর। কেন বারবার বাঘ ঢুকছে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতা বলেন, ‘একটি বাঘ পাঁচটি জেলা অতিক্রম করেছিল। যেই আমরা উদ্ধার করলাম, ওডিশা সরকার বলল ফেরত দাও। ফেরত দিয়ে দিলাম। আবার একটা বাঘ চলে এসেছে। তোমরা কেন তোমাদের বন্যপ্রাণীদের যত্ন নিচ্ছ না, খেয়াল রাখছ না?’

    উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থেকে ঝাড়গ্রামের সীমানা পার করে চলে আসে বাঘিনি জ়িনাত। টানা প্রায় দশ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে জ়িনাতকে উদ্ধার করেন রাজ্যের বন কর্মীরা। ছিল ওডিশা বন বিভাগের একটি টিমও। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছিলেন, প্রায় ১৭০ জনের টিম কাজ করে এই বাঘিনি উদ্ধার অভিযানে। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। পাশাপাশি আতঙ্কের কারণে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় বাঘিনির যাত্রাপথের নিকটবর্তী এলাকায় স্কুল বন্ধ রাখতে হয়। বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়।

    মমতার কথায়, ‘ওডিশা সরকারকে বলব, তারাই উদ্ধারকারী টিম পাঠাক, বাঘ উদ্ধার করে নিয়ে যাক। কারণ আমাদের লোকেরা পাঁচদিন না ঘুমিয়ে বাঘকে খাঁচা বন্দি করেছে। আতঙ্কে পাঁচ জেলার মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারেননি। এখন আবার সেই আতঙ্ক শুরু হয়েছে…আবার একটা বাঘ চলে এসেছে।’ ওডিশা সরকারকে খোঁচা দিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘ওখানে বাঘ রাখার জায়গা না থাকলে চিরকালের মতো পাঠিয়ে দিক। আমরা রেখে দিচ্ছি। আমাদের এখানে টাইগার রেসকিউ সেন্টার আছে। আমাদের ফরেস্ট এলাকা আছে, রেখে দিচ্ছি।’

    উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমানায়। পুরুলিয়া জেলার সীমানা থেকে মাত্র ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের চান্ডিলের তুলগ্রাম বালিডিহির জঙ্গলে বাঘের উপস্থিতির অনুমান করা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)